ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

বার্সেলোনা আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে: হান্সি ফ্লিক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
হান্সি ফ্লিক। ছবি- সংগৃহীত

হান্সি ফ্লিক—নামটি শুনলেই জার্মান ফুটবলের সেই ঠান্ডা, হিসেবি এবং যন্ত্রবৎ নিখুঁত প্রশিক্ষকের ছবি চোখে ভাসে। বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে থাকাকালীন তার মুখ ছিল ভাবলেশহীনতার প্রতিচ্ছবি। 

এমনকি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ৮-২ গোলে জয়লাভের পরও তার চেহারায় আবেগের কোনো ছাপ দেখা যায়নি—সেই ছবি আজও ফুটবলের এক জনপ্রিয় 'মিম'। কিন্তু সেই হান্সি ফ্লিক এখন অতীত!

বার্সেলোনার ডাগআউটে এসে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই ৬০ বছর বয়সী জার্মান কোচ। স্প্যানিশ লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ২-১ গোলের শেষ মুহূর্তের জয়ের ম্যাচে তার আবেগের বাঁধ ভেঙে যায়। 

রেফারির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে একই সঙ্গে দেখেন দু-দুটো হলুদ কার্ড, ফলস্বরূপ ডাগআউট ছাড়তে হয় তাকে।

এই অনিয়ন্ত্রিত আবেগের চড়া মূল্যও দিতে হচ্ছে তাকে। মৌসুমের প্রথম 'এল ক্লাসিকো'তে সাইডলাইনে থাকতে পারবেন না ফ্লিক (যদিও বার্সা লাল কার্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছে)।

তবে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ফ্লিক তার এই 'রূপান্তর' নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন। 

ফ্লিক বলেন, আমি আগের চেয়ে নার্ভাস নই, হয়তো আমার আবেগের প্রকাশ আর আগের মতো নেই। আমার মনে আছে, যখন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিলাম, বার্সার বিপক্ষে সেই ৮-২ গোলে জয়ের ম্যাচের নানা ছবি ছিল আমাদের। 


আট গোলের পরও আমাকে হাসতে দেখা পায়নি। এখন আমার আবেগ অনেক বেশি। এই ক্লাব আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।

ফ্লিকের মতে, কাতালান ক্লাবটিতে আসার পর থেকেই তিনি আবেগে ভাসছেন। এখানকার মানুষ, পরিবেশ এবং ক্লাবের দর্শন তাঁকে পুরোপুরি গ্রাস করেছে।

জার্মান এই কোচ আরও বলেন, আমি যা বলতে পারি, এ ক্লাবকে আমি ভালোবাসি। বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। এখানকার মানুষদের ভালোবাসি, এটি অসাধারণ এবং এই ক্লাবের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি।