ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসন্ন নিলাম ভারতে নয়, এবার বিদেশে হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের নাম জানানো হয়নি, তবে ধারণা দেওয়া হয়েছে যে ভেন্যু হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ।
সম্ভাব্য তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি। পাশাপাশি ওমান ও কাতারও বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় আছে বলে জানা গেছে।
এটি আগের পরিকল্পনা থেকে বড় পরিবর্তন। শুরুতে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) নিলাম দেশে আয়োজন করতে আগ্রহী ছিল। তবে নির্ধারিত সময় দেশের উৎসব ও বিয়ের মৌসুমের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় চাহিদামতো ভেন্যু খুঁজতে সমস্যায় পড়ছে তারা।
চলতি মাসের দ্বিতীয় ভাগে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নভেম্বর ১৫-এর মধ্যে নিলামের তারিখ ও ভেন্যু আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বিসিসিআই। ওইদিনই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর রিটেইনড ও রিলিজড তালিকা জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমাও শেষ হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি পর্যায়ে এখন রিটেনশন-রিলিজ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের সম্ভাব্য ট্রেড।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা উল্লেখযোগ্য না হলেও আইপিএলে তার মূল্য এখনো অনেক, এবং একাধিক দলই তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
রাজস্থান রয়্যালসের মালিক মনোজ বাদলে খুব শিগগিরই ভারতে পৌঁছাচ্ছেন, তখনই স্যামসনের ভবিষ্যৎসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
শ্রীলঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকসানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে রাখা হবে কি না, সেটিও পর্যবেক্ষণে—রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং দায়িত্বে থাকা সময়ে যাদের তালিকায় ছিল ‘রিলিজ’-এর সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, ভারতের অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামিকে ছাড়তে অনিচ্ছুক সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কয়েকটি দল তার জন্য ট্রেড প্রস্তাব দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি তা নাকচ করেছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া উল্লেখযোগ্যসংখ্যক খেলোয়াড় ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস, লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং সম্ভবত কলকাতা নাইট রাইডার্সও।



