বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মান নিয়ে ক্রিকেটমহলে বিতর্ক নতুন নয়। বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যখন তারকার ঝলকে আলোকিত, তখন বিপিএলকে অনেকে দেখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ হারানো ক্রিকেটারদের ‘পুনর্বাসন কেন্দ্র’ হিসেবে।
আসন্ন বিপিএল নিলামের বিদেশি ক্রিকেটারদের তালিকা সেই আলোচনাকে আরও উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যের 'এ' ক্যাটাগরি (৩৫ হাজার ডলার)-এর তালিকা দেখে ভ্রু কুঁচকেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে পাকিস্তানের সাবেক অল-রাউন্ডার শোয়েব মালিক (৪৩ বছর ২৯৯ দিন) এবং ভারতের সাবেক স্পিন অল-রাউন্ডার পীযুষ চাওলাকে (৩৭ ছুঁইছুঁই) নিয়ে।
শোয়েব মালিকের বয়স যেখানে ৪৩ পেরিয়েছে, সেখানে তার এখন নিয়মিত কাজ ক্রিকেট বিশ্লেষণ। এক বছর আগের বিপিএলেই যার বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।
এবং ব্যক্তিগত জীবনে সানিয়া মির্জার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি ঘটেছিল, তার পারফর্মেন্সও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যাচ্ছেতাই। এরপরও ৩৫ হাজার ডলার ভিত্তিমূল্যের সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে তার অন্তর্ভুক্তি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
পীযুষ চাওলা লেগ স্পিন অল-রাউন্ডার ২০১২ সালের পর থেকে ভারতীয় জাতীয় দলে নেই। যদিও তিনি আইপিএলে খেলছেন (গত আসরে ১১ ম্যাচে ১৩ উইকেট), তবে জাতীয় দল থেকে এত দীর্ঘ সময় দূরে থাকা এবং বয়সের ভার সত্ত্বেও তাকে 'এ' ক্যাটাগরিতে রাখাটা সকলের অপ্রত্যাশিত ঠেকছে।
শোয়েব ও চাওলার পাশাপাশি এই ক্যাটাগরিতে ঠাঁই পেয়েছেন এমন কিছু ক্রিকেটার, যাদের আন্তর্জাতিক কিংবা বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সার্কিটে চেনেন না অনেকে। এই তালিকায় শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাই বেশি।
ক্রিকেট ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, বিপিএল কি হারানো ক্রিকেটারদের ‘রিহ্যাব সেন্টার’? কোন মানদণ্ডে এই ক্রিকেটারদের 'এ' ক্যাটাগরিভুক্ত করা হলো? যখন বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা একই সময়ে অনুষ্ঠিতব্য অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ (যেমন: আইএলটি২০ বা এসএ২০) মাতাবেন, তখন বিপিএলকে নির্ভর করতে হচ্ছে এমন খেলোয়াড়দের ওপর, যাদের পারফর্মেন্স নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।



