মাদকাসক্তদের সঙ্গে তর্কবিতর্কের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক ও পলাশ সরদার।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা পলাশ ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন সাম্যকে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশায় হকার হলেও রাতে ছিনতাইসহ নানা অপরাধে লিপ্ত তারা। তবে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পূর্ববিরোধ বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সম্ভাব্য সবগুলো কারণ মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ। সাম্য নিহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার এক দিনের শোক ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে এদিন অর্ধদিবস, অর্থাৎ দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে সাম্য হত্যার ঘটনায় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পরে দেশের পট পরিবর্তনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা খুনের ঘটনা এটাই প্রথম। ছাত্রদলের নেতারা দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের টার্গেট বানিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও প্রশাসনে এখনো ছাত্রলীগের দোসর ও ফ্যাসিস্টরা রয়ে গেছে দাবি করে দ্রুত তাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এনসিপির আরেক নেতা উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের ভাই সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রোক্টর স্যারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এবং তাদের ওপর দায় চাপানোর যে চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা স্রেফ অপচেষ্টা এবং সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা। এদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা। বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে রাজপথে এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল। সহপাঠীদের কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয় ও মেধাবী ছাত্রনেতা ছিলেন। তার খুনিদের কেনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তাকে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রদল।
সাম্যের সঙ্গে উদ্যানে যা ঘটেছিল: ওই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য তার দুই বন্ধু বায়েজীদ আব্দুল্লাহ ও রাফির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এরপর অপর মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ওই আরোহীর সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে সাম্য ও তার বন্ধুদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই দল সবাই মিলে সাম্য ও তার বন্ধুদের মারধর শুরু করে। মারামারির মধ্যে এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে সাম্যকে আঘাত করেন। হামলায় সাম্যের দুই বন্ধু বায়েজীদ ও রাফি আহত হন। এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সাম্যের বন্ধু বায়েজীদ।
তিনি জানান, ওই দলটির কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নন। তাই তাদের কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। কিন্তু একজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্যর অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তারা তাকে সেখানে উপস্থিত লোকদের হাতে তুলে দিয়ে সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটসংলগ্ন ভেতরে নির্মিতব্য ক্যান্টিনের পাশে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। সেখানে পুলিশের কোনো ক্রাইম সিন দেখা যায়নি। তবে উৎসুক শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে ভিড় করেন। এ সময় ডিবি পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা স্থানটি পরিদর্শন করে যান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়িই মাদারীপুরে। দিনে হকারি করলেও রাতে নিয়মিত নেশা করেন। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য সব কারণ মাথায় রেখেই আমরা তদন্ত করছি। এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি।
এদিকে সাম্যর বন্ধু ও সহপাঠীরা বলছেন, ১০ মাস আগে রাষ্ট্রক্ষমতায় পালাবদলের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী খুন হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। প্রতিবাদরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার আচরণ নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক।
বিক্ষোভের মুখে ঢাবি ভিসি
সাম্য খুন হওয়ার পরপরই হাসপাতালে জড়ো হওয়া তার বন্ধু, সহপাঠী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাসে ফেরে। রাত পৌনে ২টার দিকে এ এফ রহমান হলের সামনে থেকেও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সব মিছিল ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বরে গিয়ে জড়ো হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। তখন অনেকে ভিসিকে উদ্দেশ করে ‘শেইম-শেইম’ স্লোগান তোলেন। উপাচার্য একপর্যায়ে মিছিলে যোগ দেন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গিয়ে শেষ হয়। মাঝপথে মিছিলে যোগ দেন, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদও। মিছিল শেষে উপাচার্য ও প্রক্টর নিহত সাম্যকে দেখতে ভেতরে ঢুকতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। তারা ভিসি ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকলে তাদের সঙ্গে উপাচার্যের কথা-কাটাকাটিও হয়। পরিস্থিতি নাজুক দেখে হাসপাতাল ছেড়ে যান উপাচার্য ও প্রক্টর।
অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: ঢাবি কর্তৃপক্ষ
সাম্যের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে কাজ করছে। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি
ক্যাম্পাসে সাম্য নিহত হওয়ায় ব্যর্থতার জন্য উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল। পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠনটি। গতকাল ছাত্রদলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: ছাত্রদল সভাপতি
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ‘নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা। বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে রাজপথে এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল। সহপাঠীদের কাছে সে খুবই জনপ্রিয় ও মেধাবী ছাত্রনেতা ছিল।’ রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা এখনই এর পেছনে রাজনীতি খুঁজছি না। আমরা আমাদের সহযোদ্ধা হত্যার বিচার দাবি করছি। যে বা যারাই খুনি হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে যে অবস্থা বিরাজ করেছে, তারই প্রতিফলন হচ্ছে আজকের ঘটনা।’
‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পুরোপুরি অনিরাপদ স্থান। যেখানে দিন-রাতে প্রকাশ্যে মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে। রাত ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় মাদকের অভয়ারণ্য গড়ে ওঠে। এগুলো মাসের পর মাস চলছে।’
রাকিব বলেন, জুলাই-আগস্ট পরবর্তী আন্দোলনের বাস্তবতায় এদের ধরার মতো পুলিশ প্রশাসনের সামর্থ্য রয়েছে কি না, আমি সন্দিহান। আমরা বিভিন্ন সময় এগুলো বলেছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমি মনে করি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে পুরোপুরি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, গত ১০ মাসে দুই শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না প্রশাসন। আমরা অবিলম্বে সব হল ও ঢাবি প্রশাসনের সব পদ থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গ্রেপ্তার ৩ জন কারাগারে
পুলিশ রিমান্ডের আবেদন না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম জামসেদ আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে এসআই তৌফিক হাসান গ্রেপ্তার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার কথা বললেও আদালতের আদেশের পর তিনি বলেন, ‘রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। পরে, হয়তো আগামীকাল তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এদিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ কথা বলেন তিনি। হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।