ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ‘সি’ এলাকার জমি নিবন্ধনের পূর্ণ কর্তৃত্ব দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে ৬০ শতাংশের অধিক অবৈধ ইসরায়েলি বসতি রয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিকবিষয়ক ডানপন্থি মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সমর্থিত এ পদক্ষেপকে বিরোধীরা ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন ভূখণ্ডের অধিগ্রহণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
১৯৯৫ সালের অসলো চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এলাকা ‘সি’ অস্থায়ীভাবে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নতুন মন্ত্রিসভার প্রস্তাবনা অনুযায়ী ‘সি’ এলাকাতে ফিলিস্তিনিদের যেকোনো ভূমি নিবন্ধন প্রচেষ্টা ইসরায়েল কর্তৃক আইনত বাতিল ঘোষণা করা হবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক জমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু, ভূমি জরিপ পরিচালনা এবং বিশাল অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারে। ফলে বসতি সম্প্রসারণ আরও সহজ হবে।
প্রস্তাবটিতে ৬০ দিনের মধ্যে ভূমি নিবন্ধন তদারকির জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূমি নিবন্ধনের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করা ও এই প্রচেষ্টার জন্য বহিরাগত সহায়তা প্রত্যাখ্যান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে।
ফিলিস্তিনের ভূমিতে বসতি স্থাপনকারীদের জন্য জমি ক্রয় সহজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন উন্নয়ন প্রস্তাবটি যা ইসরায়েলি সংসদের (নেসেট) আসন্ন আলোচনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ উদ্যোগের ফলে ব্যক্তি-মালিকানাধীন ফিলিস্তিনি জমিকে ইসরায়েলি সরকারি জমি হিসেবে গণনা করা হবে, যা স্মোট্রিচ দ্বারা পরিচালিত ভূমি মূল্যায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘এটি ভূমিদস্যু প্রশাসনের ইহুদিদের ত্রাণকর্তা দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের দিকে একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ’- ইসরায়েলি অধিকার গোষ্ঠী ইয়েশ দিন বলেছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন, ‘এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং লাখ লাখ ফিলিস্তিনির অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে।’
পশ্চিম তীরের মধ্যাঞ্চলীয় শহর সিনজিলের আয়েদ জাফরির মতো ফিলিস্তিনি কর্মীরা বলছেন, এই নীতি ফিলিস্তিনি জমি অবৈধ দখলদারত্বকে আরও জোরদার করবে।
‘বর্তমানে আমরা আবার সরাসরি দখলদারদের সঙ্গে মোকাবিলা করছি’- তিনি বলেন। ‘এটি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য বিনা তদারকিতে জমি দখলের সুযোগ করে দেয়’।