চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০২৪-২৫ মৌসুমের শেষ মুহূর্তের লড়াই চলছে। ৩৬ দলের এই টুর্নামেন্টে এখন আর মাত্র চারটি দল রয়েছে প্রতিযোগিতায়—বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও আর্সেনাল।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সপ্তাহে। যেখানে পিএসজি ১-০ গোলে আর্সেনালকে হারিয়েছে, অন্যদিকে বার্সেলোনার মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান। ফিরতি লেগ হবে ৬ ও ৭ মে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে—এই পর্যায়ে পৌঁছানো দলগুলো পুরস্কার হিসেবে কত টাকা পাচ্ছে উয়েফা থেকে? ফাইনালে গেলে বা চ্যাম্পিয়ন হলে আয় কত হবে?
উয়েফা আগেই জানিয়েছিল, এবারের মৌসুমে পুরস্কারের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। পুরো আসরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২ হাজার চারশত সাইত্রিশ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৩,৬৩৪ কোটি টাকা), যা আগের মৌসুমে ছিল ২ হাজার ৩০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা)। এই অর্থ তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্লাবগুলোর মাঝে বণ্টিত হবে।
১. অংশগ্রহণ ফি:
মোট ৬৭০ মিলিয়ন ইউরো সমান ভাগে ৩৬টি ক্লাবের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ক্লাব পাচ্ছে প্রায় ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো। এর মধ্যে বেশিরভাগ অর্থ অগ্রিম দেওয়া হয়েছে।
২. পারফরম্যান্স বোনাস:
মোট ৯১৪ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্স অনুযায়ী। যারা বেশি ম্যাচ জিতবে, তারা পাবে বেশি অর্থ। সঙ্গে থাকবে ঘরোয়া লিগে র্যাঙ্কিং অনুসারে নির্ধারিত একটি বোনাসও।
র্যাঙ্কিং বোনাস হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে নিচের দল পাবে ১ ভাগ (২.৭৫ লাখ ইউরো), আর শীর্ষ দল পাবে ৩৬ ভাগ (৯.৯০ মিলিয়ন ইউরো)।
৩. মার্কেট পুল (বাজার ও সম্প্রচার আয়):
এই অংশের মোট অর্থ ৮৫৩ মিলিয়ন ইউরো। ক্লাবের জনপ্রিয়তা, দেশীয় বাজারের আকার এবং সম্প্রচারে অংশগ্রহণের পরিমাণ অনুযায়ী এই অংশ বণ্টন করা হয়।
তাহলে চ্যাম্পিয়ন দল কত পেতে পারে?
একটি ক্লাব যদি শিরোপা জিতে, তাহলে তারা অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স ইনসেনটিভ, র্যাঙ্কিং বোনাস ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ১০৯.৩ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৫০৬ কোটি টাকা) পর্যন্ত আয় করতে পারে। আর যদি মার্কেট পুলে বড় অংশ পায়, তাহলে মোট আয় বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৬৫৪ কোটি টাকা) পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :