ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালের বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, এখনও ‘সর্বোচ্চ স্তরে’ খেলার ক্ষমতা রয়েছে তার। আর সে কারণেই তিনি ইউরোপেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
৩০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডারকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক গুঞ্জন চলছিল, সৌদি প্রো লিগের শীর্ষ দল আল-হিলাল তার জন্য ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফি দিতে রাজি ছিল।
এবং প্রতি সপ্তাহে ৭০০,০০০ লাখ পাউন্ডের বেতন দিতে প্রস্তুত ছিল।
পর্তুগিজ এক সংবাদমাধ্যমকে ফার্নান্দেজ বলেন, ‘এক মাস আগে আল-হিলালের প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ক্লাবের সঙ্গে কথা বলার পর তারা জানায়, আমাকে তারা রাখতে চায়, তবে আমি যদি যেতে চাই, তবেই বিক্রির কথা ভাববে।’
তিনি আরও জানান, কোচ রুবেন আমরিম ও নিজের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি ইউরোপেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘আমি ফুটবলকে ভালোবাসি, বড় মঞ্চে খেলা এখনও উপভোগ করি। তাই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।’
ফার্নান্দেজ আরও যোগ করেন, আমার স্ত্রী একবারও ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলেনি। বরং বলেছিল—তুমি কী চাও সেটা ভেবেই সিদ্ধান্ত নাও।
পরিবারগত দিক থেকেও ওটা (সৌদিতে যাওয়া) সহজ হতো, কারণ রুবেন নেভেস, জোয়াও ক্যানসেলোদের মতো বন্ধুরা আছে ওখানে। কিন্তু আমি এখনও বড় প্রতিযোগিতায় খেলতে চাই, শীর্ষ পর্যায়ে থাকতে চাই।”
ফার্নান্দেজের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ড ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল।
তিনি স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে, তখন এত বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রত্যাখ্যান করে ক্লাবের হয়ে লড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ফার্নান্দেজের ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতা সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।’
এদিকে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন থেকে ৪৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ইউনাইটেডে যোগ দেন ব্রুনো। এরপর থেকেই দলের অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ২৯০ ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ৯৮টি গোল।