ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে গোলের বন্যা বইয়ে দিল ইতালি। ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শুক্রবার রাতে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারীদের।
ইতালির কোচ হিসেবে জেনারো গাত্তুসোর এটি ছিল অভিষেক ম্যাচ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাছাইপর্বে ৩ ম্যাচে ২ জয় তুলে নিল আজ্জুরিরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইতালির আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি এস্তোনিয়া। স্তাদিও আতলেতি আজ্জুরিতে পুরো ম্যাচে ৭১ শতাংশ বলের দখল রেখেছিল স্বাগতিকরা।
গোলের দিকে তারা শট নেয় ৪০টি, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, এস্তোনিয়া ৪টি শট নিলেও মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে।
প্রথমার্ধে ইতালির আক্রমণগুলো বারবার আটকে যায় এস্তোনিয়ার গোলকিপার কার্ল হিনের দুর্দান্ত সেভে। ম্যাচের দশম মিনিটের মধ্যেই তিনি বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন।
আক্রমণাত্মক খেলা সত্ত্বেও প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এতে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েন কোচ গাত্তুসো। তিনি বলেন, আমি ভয় পাচ্ছিলাম, বিরতিতে ০-০ থাকতে দ্বিতীয়ার্ধে দল চাপে পড়ে যাবে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে গাত্তুসোর শিষ্যরা। অবশেষে ৫৮তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন মোইসে কিন। সতীর্থের ক্রস থেকে তার শক্তিশালী হেড খুঁজে নেয় এস্তোনিয়ার জাল। এরপরই যেন গোলের খাতা খুলে যায় ইতালির।
এর ১০ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাতেও রেতেগি। মিনিট তিনেক পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন জিয়াকোমো রাসপাদোরি। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে রেতেগি তার দ্বিতীয় গোলটি করেন, যা দলের চতুর্থ গোল।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হেডে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আলেসান্দ্রো বাস্তোনি।
দারুণ এই জয়ের পর শিষ্যদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত কোচ গাত্তুসো। তিনি বলেন, এই কয়েকদিনে ছেলেরা দারুণ মনোভাব দেখিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম করেছে।
বিরতির পরও তারা একই মানসিকতা ধরে রেখেছিল। সত্যিই তারা দারুণ খেলেছে।