ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ৪৮-দলীয় বিশ্বকাপে নতুন পরীক্ষা চালানোর কথা ভাবছে।
এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কর্নার কিকের সিদ্ধান্ত ভিএআর প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার করা হতে পারে।
আইএফএবি এমন একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে, যেখানে বড় টুর্নামেন্টগুলোকে তাদের নিজস্ব ছোট পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হবে।
এর ফলে, বিতর্কিত কর্নার কিকের সিদ্ধান্তগুলোতে ভিএআর ব্যবহার করে দেখা হবে যে বলটি পুরোপুরি লাইন পার করেছে কি না অথবা শেষ কোন খেলোয়াড় বা দলটি বল স্পর্শ করেছে—এই তথ্য অনুযায়ী কর্নার দেওয়া হবে।
বোর্ডের অভ্যন্তরে এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। এর মূল কারণ হলো, গুরুত্বপূর্ণ ও নক-আউট ম্যাচগুলোতে ভুলভাবে দেওয়া কর্নার কিকের প্রভাব কমানো যাবে। একটি ভুল সিদ্ধান্ত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, যা কমাতে এই উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইএফএবি বর্তমানে ভিএআর-এর ক্ষমতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। তাদের লক্ষ্য হলো, ভিএআর-কে কেবল 'বাস্তব ভিত্তিক' সিদ্ধান্তে ব্যবহার করা।
যেমন
১/ কর্নার কিক দেওয়ার আগে বলটি খেলার মাঠের বাইরে (আউট) ছিল কি না।
২/ বলটি পুরোপুরি লাইনের ওপর ছিল কি না।
তবে, ভিএআর-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে খেলার অতিরিক্ত সময় বাড়তে পারে—এই নিয়েও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। রেফারিকে মাঠের সিদ্ধান্তে বেশি সময় ব্যয় করতে হলে ম্যাচের গতি ও প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে।
এছাড়াও, দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্তে ভিএআর ব্যবহার করার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। তবে এটি অপেক্ষাকৃত জটিল বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রে রেফারির ব্যক্তিগত বিচার ও মতের ওপর নির্ভর করে, যা ভিএআর-এর 'বাস্তব ভিত্তিক' সিদ্ধান্তের আওতায় আনা কঠিন।
আইএফএবি নিশ্চিত করেছে যে, এই ধরনের পরীক্ষা চালানোর জন্য ভিএআর-এর বর্তমান নিয়মাবলী পরিবর্তন করতে হবে না।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন