সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

সরকার কড়াইল বস্তিবাসীর অধিকারের তোয়াক্কা করছে না: জোনায়েদ সাকি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকার কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকারের বিষয়ে সরকার কোনো তোয়াক্কা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চালিকাশক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কড়াইল বস্তির মানুষ। অথচ এই সরকার বা রাষ্ট্র তাদের জন্য ন্যূনতম কোনো দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না। নাগরিক হিসেবে তাদের যে অধিকার ও মর্যাদা, তার কোনো তোয়াক্কা সরকার করছে না।

সোমবার (০১ ডিসেম্বের) দুপুরে রাজধানীর কড়াইল বস্তির রাহাত আলী শাহ (রহ.) খানকা প্রাঙ্গণের পাশে গণসংহতি আন্দোলনের স্থাপিত রিলিফ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। দলটি ২৭ নভেম্বর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসীর জন্য ত্রাণ হিসেবে চাল-ডাল-তেল-আলু, কম্বল-মশারি বিতরণ করছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের বিষয়ে সরকার দ্রুত উদ্যোগ নেয়নি অভিযোগ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এটি একটি দুর্যোগ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উচিত ছিল দ্রুত এখানকার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলা এবং খোলা আকাশের নিচে থাকা মানুষগুলোর জন্য অবিলম্বে তাঁবু খাটিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা। তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করা সরকারের দায়িত্ব।

গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিই এই কারণেই যে জনগণ যখন বিপদে পড়বে, তখন সরকার এগিয়ে আসবে। কিন্তু আমরা সরকারের সেই উদ্যোগ বা নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার কোনো ব্যবস্থা এখনো দেখতে পাচ্ছি না।’

অবিলম্বে সরকারকে কড়াইল বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে প্রত্যেকের খাবার, থাকার জায়গা, শীতবস্ত্র, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানসহ দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যত দিন না কড়াইল বস্তির বাসিন্দারা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন এবং নিজেদের বাসস্থান গুছিয়ে নিতে পারেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আগুন লাগার কারণ হিসেবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা শর্টসার্কিটের কথা বলা হয়। এ জন্য ইউটিলিটি সার্ভিস বা সেবামূলক ব্যবস্থাগুলো নিরাপদ হওয়া খুব জরুরি। অবিলম্বে এখানে নিরাপদ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কড়াইল বস্তির ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশাপাশি গণসংহতি আন্দোলনের কড়াইল রিলিফ ক্যাম্পের সংগঠক শাহীদা আক্তার, মোহাম্মদ মোতালেব, আবুল কালাম, আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, কড়াইল বস্তিতে ২৫ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার পর ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!