১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ফলে আগামীকালও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাসেম মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারও (২ ডিসেম্বর) আগের মতোই পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সারা দেশে তৃতীয় দিনের মতো সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
শিক্ষকরা সরকারের কাছে যে চার দফা দাবি জানিয়েছেন, তা হলো: সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন কার্যকর করা; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরি দেওয়া এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল রাখা।
উল্লেখ্য, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি এবং শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৩.৭ লাখ। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে থাকলেও তারা গ্রেড ১০ম-সহ তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন চালাচ্ছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন