ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যে কারণে জন্মভূমি ছেড়ে চলে গেলেন টেনিস কিংবদন্তি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। ছবি- সংগৃহীত

নিজ দেশে রাজনৈতিক চাপ এবং তীব্র সমালোচনার মুখে সার্বিয়া ছেড়েছেন টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। পরিবারসহ তিনি এখন প্রতিবেশী দেশ গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোর পর থেকেই সার্বিয়ার সরকার-ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে 'দেশবিরোধী' এবং 'ভুয়া দেশপ্রেমিক' তকমা দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে।

যদিও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ প্রকাশ্যে জোকোভিচের সমালোচনা করেননি, বরং বলেছিলেন, জোকোভিচকে নিয়ে তিনি কখনো খারাপ কিছু বলবেন না।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট এমন কথা বললেও, জোকোভিচকে নিয়ে চলা সমালোচনা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

ব্রিটিশ দৈনিক 'মেইল অনলাইন' জানিয়েছে, রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই তারকা তার দুই সন্তান—১১ বছর বয়সী ছেলে স্তেফান এবং ৮ বছর বয়সী মেয়ে তারাকে এথেন্সের নামকরা সেন্ট লরেন্স কলেজে ভর্তি করিয়েছেন।

তারা ইতিমধ্যেই নতুন স্কুলে ক্লাস শুরু করেছে। জোকোভিচ এথেন্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্লাইফাদায় একটি নতুন স্থায়ী ঠিকানাও ঠিক করে নিয়েছেন।

গ্রিসে জোকোভিচের নতুন জীবন বেশ স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় একটি টেনিস ক্লাবে তাকে ছেলের সঙ্গে টেনিস খেলতে দেখা গেছে এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়াও গ্রিক সংবাদমাধ্যমগুলো সৈকতে পরিবারের সঙ্গে তার সময় কাটানোর ছবিও প্রকাশ করেছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে সার্বিয়ায় একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জন নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলা সেই আন্দোলনে জোকোভিচ প্রকাশ্যে সমর্থন জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, আমি তারুণ্যের শক্তি ও তাদের ভালো ভবিষ্যতের আশায় বিশ্বাস করি। তাদের কথা শোনা জরুরি।

পরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে তিনি সেই শিরোপা আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থীদের উৎসর্গ করেন। এমনকি বেলগ্রেডে একটি বাস্কেটবল ম্যাচে তিনি 'শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন' লেখা জাম্পার পরে গিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়।