দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে টানা বা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন এক সময় এই মেঘবৃষ্টি চলছে যখন দেশজুড়ে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
বাড়ি ফেরা ছাড়াও অনেকে কেনাকাটা করছেন পরিবার-পরিজনের জন্য। এ ছাড়া কোরবানির পশু কেনাকাটার ব্যাপারও রয়েছে। কিন্তু এই টানা বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক চলাফেরাতেও ভোগান্তি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে উদযাপনে শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়া শুরু করেছেন নগরবাসী। সরকারি ছুটি শুরু হলে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়বে। তবে ঈদের জন্য দূরের পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবেন তাদেরও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে রাস্তায় নেমে বৃষ্টির কবলে পড়তে হবে কিনা।
এছাড়া ঈদের দিনের জামাত বা পশু কোরবানির সময় আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়েও এক ধরনের দুঃশ্চিন্তা রয়েছে। আগামী ৭ জুন পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ দিন সারাদেশেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ‘ঈদের দিনও বৃষ্টি হতে পারে। তবে, কোথায় কোথায় কী পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা কঠিন। ঈদের দিন তিনেক আগে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে বলে গরম পড়বে। সোমবারের পর গরম কিছুটা বাড়বে। ভ্যাপসা গরম থাকবে। আগামী ৭ জুনের পর তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের দিন রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের জামাত ও কোরবানির সময় বৃষ্টি হতে পারে। তাই ঈদের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস মাথায় রাখা উচিত।