বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এছাড়া পাশের দেশ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।
গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসীও। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বান্দরবানের লামায় পাহাড়ের ওপর ৬০টি রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে। বন্যা আশঙ্কা দেখা দিলে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালু রাখতে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সিলেট: জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের অমলশীদে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলায় বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত ও ঢল অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।
জেলার সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। অনেক সড়কেও পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে মানুষ। অবশ্য প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, এখনো কারও বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বৃষ্টির পানি যাতে দ্রুত নেমে যেতে পারে সেজন্য ড্রেন-খালের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা অপসারণে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। জরুরি সেবা প্রদানের জন্য খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ।
হবিগঞ্জ : দুদিনের অবিরাম বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে জেলার খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্ট ৪০ সেন্টিমিটার ও সদর উপজেলার মাছুলিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কালনী কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। খোয়াই নদীর বাঁধ বিভিন্ন স্থানে হুমকির মুখে রয়েছে।
চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলার কয়েকটি পৌরসভা ও ইউনিয়নের মানুষ। পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ভেঙে গেছে বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক। ভেসে গেছে সবজির ক্ষেত। পানির স্রোতে ভেসে গেছে মৎস্য প্রকল্প মাছ।
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার বড়পাড়াসহ কয়েকটি অংশে পানি উঠেছে। এতে যানবাহন ও মানুষ চলাচল অব্যাহত থাকলেও চলাচলের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাঙ্গু নদী ও বরুমতি খালের পানি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও এখনো নদনদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সড়কে পানি উঠে গিয়ে উপজেলা সদরের সঙ্গে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
লামার ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ : দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানে লামা উপজেলায় ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরের দিকে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার এক জরুরি বৈঠক শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ নির্দেশনা জারি করেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মইন উদ্দিন জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণ হচ্ছে, পাহাড় ধসের আশঙ্কাও আছে। এ বর্ষণ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর এখানকার বেশিরভাগ কটেজ পাহাড়ের ওপর। তাই পাহাড় ধসে কোনো পর্যটকের যাতে প্রাণহানি না ঘটে, তাই রিসোর্টগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জীবনের মূল্য আছে। ভারী বর্ষণ থামলে এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কা কেটে গেলে আবারও খুলে দেওয়া হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে অতিভারী ৮৮ মিমি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ও সড়ক ধস : শনিবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাত থেকে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করে। এদিকে বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ও সড়ক ধস হয়েছে। সড়কের ওপর পাহাড় ধসের মাটি পড়ে সাময়িকভাবে কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ হলেও সড়ক বিভাগের কর্মীদের দ্রুত তৎপরতায় আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কাউখালী ও জুরাছড়িতে দুটি সড়ক ধসে পড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
গতকাল সকালে প্রবল বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় কাউখালী-ঘিলাছড়ি সংযোগ সড়ক ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরতরা চরম বিপাকে পড়েছে।
কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, ঘাগড়া-বড়ইছড়ি সড়কের মুরালীপাড়া নামক এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লেও সড়ক যোগাযোগ এখনো চালু রয়েছে। তবে সড়কে ধসে পড়া মাটি পানি দিয়ে সরিয়ে ফেলা হবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেজন্য প্রশাসন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকটি পরিবার। শনিবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি উপজেলায় নামতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপজেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ আখাউড়ার হাওড়া নদীর বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে টানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আখাউড়া বিভিন্ন নদী, খাল ও গাঙে পানির পরিমাণ বেড়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আবদুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাঙ, বাউতলা দিয়ে মরা গাঙ ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে গত শনিবার রাতে অস্বাভাবিকভাবে ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে এসব এলাকার কয়েকটি বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইটনা, কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর গ্রামের ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। উপজেলার কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগর পয়েন্টে সকাল ৯টার পানির সমতল ছিল ৩ দশমিক ৯৩ মিটার। এখানে বিপদসীমা ৬ দশমিক ৫ মিটার। অর্থাৎ পানি বিপদসীমার ২.১২ মিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল একই সময়ে পানির সমতল ছিল ৩ দশমিক ৪৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০-৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা : ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নগরীর অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে গেছে নোংরা ও ময়লাযুক্ত পানিতে। আবাসিক বাসাবাড়ি, দোকানপাট, কাঁচাবাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে ময়লাযুক্ত পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। আবহাওয়া অফিস ময়মনসিংহের উচ্চ পর্যবেক্ষক নির্মল চন্দ্র মজুমদার বলেন, রবিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীর সানকিপাড়া, আকুয়া, গোলকিবাড়ী, বলাশপুর, খাগডহর, কাঠগোলা, চরপাড়া, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, বদরের মোড়, ধোপাখলা, কাশর মসজিদের মোড়, জেলখানা রোড, কলেজ রোড ও ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া জানান, নগরীতে অনেক ড্রেনের পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। আবার নতুন করে ১২০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। এগুলো শেষ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, এ বছর কিছুটা জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকলেও সামনের বছর উপকৃত হবে নগরবাসী।
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে যান চলাচল ব্যাহত : চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়। এ কারণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীসহ স্থানীয় খাল ও ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শালবন, ভুয়াছড়ি ও গুগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ন্যান্সিবাজার এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানিয়েছেন, বন্যা ও পাহাড় ধস মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত। কিছু স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলে তা অপসারণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। সেজন্য খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
গাইবান্ধায় নদনদীর পানি বাড়ছে : গাইবান্ধায় দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নদীর পানি বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জেলার নদনদীতে পানি বাড়ছে।
সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ এবং সড়কে ধস : বগুড়া সারিয়াকান্দির পৌর এলাকায় বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ব্লক ধসে গেছে এবং সেখানে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বাঙালি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টিতে সদর ইউনিয়নের একটি সড়কের একাংশ ধসে গেছে।