বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম

দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল তেলের খনি আবিষ্কার

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম

দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল তেলের খনি আবিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ চীন সাগরে একটি নতুন তেলের খনি আবিষ্কার করেছে চীন , যেখানে ১০ কোটি টনেরও বেশি তেল মজুত রয়েছে। চীনের সরকারি তেল-গ্যাস অনুসন্ধান সংস্থা চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশন এই খনির সন্ধান পেয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

হুইঝৌ ১৯-৬: চীনের অন্যতম বৃহত্তম অফশোর তেলের খনি

নতুন এই খনিটির নাম ‘হুইঝৌ ১৯-৬’, যা চীনের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত এবং কোনো বিতর্কিত জলসীমায় নয়। এটি চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর শেনজেন থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে, সাগরের ৩০০ ফুট গভীরে।

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি চীনের সাগর ও উপকূল অঞ্চলে পাওয়া সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গভীরে অবস্থিত তেলের খনি।

পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু, তেল-গ্যাস উত্তোলন চলমান

ইতোমধ্যে হুইঝৌ ১৯-৬ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তেল ও গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।

প্রতিদিন উত্তোলিত হচ্ছে:
- ৪১৩ ব্যারেল (প্রায় ৬৫,৬০০ লিটার) তেল
- ৬৮,০০০ ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস

যদিও এই খনিতে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুত রয়েছে, তবে তার সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।  

জ্বালানি নিরাপত্তায় চীনের জন্য বড় অর্জন

বিশ্বের সর্ববৃহৎ জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীন দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব তেল-গ্যাস সম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এই নতুন আবিষ্কার চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা ও শক্তি নির্ভরতা কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য ও প্রতিবেশীদের উদ্বেগ

দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে চীনের ফিলিপাইন, জাপান এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ অভিযোগ করে আসছে যে, চীন অন্য দেশের সমুদ্রসীমা দখলের চেষ্টা করছে। তবে হুইঝৌ ১৯-৬ বিতর্কিত এলাকায় নয়, বরং চীনের ২০০ নটিক্যাল মাইলের (প্রায় ৩৭০ কিমি) অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যেই পড়েছে।

এই আবিষ্কার চীনের জন্য যেমন অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দক্ষিণ চীন সাগরের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

আরবি/এসএস

Link copied!