বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

গাজায় খাদ্য সংকট চরমে

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম

গাজায় খাদ্য সংকট চরমে

ছবিঃ সংগৃহিত

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার কারণে অঞ্চলটির মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এবং ফিলিস্তিনিরা এখন ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না। 

আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে গাজার মানুষজনের কাছে পৌঁছাতে পারছে না খাদ্য সহায়তা, যা পূর্বের তুলনায় আরও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় অধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছেন, খাদ্য সংকটের কারণে সেখানে মানবিক দুর্দশা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

খাদ্য সহায়তার অভাব

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় খাদ্য সরবরাহ চেইনগুলো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। 

হামলার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এই অবস্থায় গাজার মানুষদের জন্য খাদ্য সংগ্রহ ও বিতরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। 

গাজার চিকিৎসা সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কর্মকর্তা জানিয়েছে, সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলি তাদের কার্যক্রম সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে, যার ফলে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

বাস্তুচ্যুতি ও বিপর্যস্ত পরিবেশ

গাজার অধিকাংশ মানুষ এখন শহরের বাইরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে, এবং তারা খাবারের অভাবে অত্যন্ত কষ্টে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিক্ষিপ্ত আক্রমণের ফলে তাদের বাড়িঘর ও কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর এই এলাকার কৃষি উৎপাদনও মারাত্মকভাবে কমে গেছে। 

একদিকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ, অন্যদিকে কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি ফিলিস্তিনিদের জন্য এক নতুন মাত্রার সংকট তৈরি করেছে। 

খাবারের অপ্রতুলতা শুধু শারীরিক ক্ষতি আনছে না, বরং এটি গাজার জনগণের মানসিক স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

বিশ্বের মানবিক প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলি গাজায় জরুরি সাহায্যের জন্য কল করেছে, কিন্তু তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অনেকাংশে হামলার কারণে বিঘ্নিত হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজার খাদ্য সংকটের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে এবং ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

জাতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক আন্তোনিও গুতেরেস গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে খাদ্য সহায়তা দ্রুত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার জরুরি প্রয়োজন

এছাড়া, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

 জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, খাদ্য সহায়তার জন্য তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি এবং তারা আঞ্চলিকভাবে আরো জরুরি সহায়তা প্রেরণের চেষ্টা করছে। 

কিন্তু ইসরায়েলি হামলার ফলে ত্রাণ সরবরাহের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার মানুষের জন্য খাবার সংগ্রহ করা এখন আর আগের মতো সহজ নয়।

মানবিক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, খাদ্য সংকটের এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তাহলে গাজার মানুষের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে। 

স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক অবকাঠামোর মতো খাতে এই সংকটের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে, এবং গাজার জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

গাজায় চলমান হামলা ও সংঘাতের কারণে এখনকার পরিস্থিতি অত্যন্ত চরম আকার ধারণ করেছে, বিশেষ করে খাদ্য সংকট। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।

 আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এখনই গাজার মানবিক সংকটের দিকে নজর না দেয়, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং হাজার হাজার নিরীহ মানুষ আরও কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে।

আরবি/এসএস

Link copied!