ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও গুজরাটসহ ১৫টি শহরে বৃহস্পতিবার (৮ মে) মধ্যরাত থেকে সকালের দিকে সামরিক স্থাপনা নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে পাকিস্তান।
তবে ভারত এ হামলাগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লী। ১৫টি শহরের মধ্যে বেশির ভাগ শহরই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও অবকাঠামো দ্বারা পরিপূর্ণ।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্যস্থল শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর), আওয়ান্তিপুরা (জম্মু ও কাশ্মীর), উধমপুর (জম্মু ও কাশ্মীর), জম্মু (জম্মু ও কাশ্মীর), পাঠানকোট (পাঞ্জাব), অমৃতসর (পাঞ্জাব), লুধিয়ানা (পাঞ্জাব), জালন্ধর (পাঞ্জাব) ,চণ্ডীগড় (পাঞ্জাব), ভাতিন্ডা (পাঞ্জাব), ভুজ (গুজরাট),নাল, ফালোদি (রাজস্থান), উত্তারলাই ও কাপুরতোলা।
এসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমসহ আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে।
ভারতের দাবি, পাকিস্তানি হামলার জবাবে তারা ‘প্রতিশোধমূলক পাল্টা আক্রমণ’ চালিয়েছে। এর আওতায় পাকিস্তানের লাহোরসহ একাধিক শহরের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
এ আক্রমণে ‘হারপি’ ও ‘হারোপ’ ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়, বিশেষ করে রাডার ঘাঁটিগুলোকে।
পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও সৌদি আরব শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দুই দেশকে আলোচনায় বসার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। জবাবে পাকিস্তানও ভারতে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস, গার্ডিয়ান, এনডিটিভি