মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি–মে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (৩০ মে) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের প্রায় ৬২ শতাংশকে বাণিজ্যিক বিমানে দেশে আনা হয়েছে। বাকি যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিস্তারিত কিছু না জানালেও তিনি উল্লেখ করেন, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র একটি সামরিক বিমানে করে শতাধিক ভারতীয়কে ফেরত পাঠায়, যাদের মধ্যে অনেকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় ছিলেন।
এই ঘটনাটি সে সময় ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয় নাগরিককে শনাক্ত করেছে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ‘যা সঠিক, তাই আমরা করব। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই প্রশাসনের নীতি।’
চলতি মে মাসের শুরুতেই ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস একটি এক বিজ্ঞপ্তি বলেছে, কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে, তবে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বা ভবিষ্যতে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারি হতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভিসা সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এখন থেকে ভিসাপ্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হবে।
পররাষ্ট্র মুখপাত্র জয়সওয়াল এই নতুন নিয়ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবর্তিত নীতি দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য গেছেন, যা ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃহত্তম উৎসে পরিণত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :