পাকিস্তানের করাচিতে ২৪ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার থেকে সোমবার (২ জুন) সকাল পর্যন্ত চারবার মৃদু কেঁপে ওঠে বন্দর নগরী। এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন জানিয়েছে, বাসিন্দারা সোমবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে লান্দি এবং মালিরের আশেপাশে কম্পন অনুভব করার কথা জানিয়েছেন।
কায়েদাবাদ, মালির, সওদাবাদ, গুলিস্তান-ই-জওহর, খোখরাপার, স্টিল টাউন এবং আশেপাশের এলাকাগুলোর স্থানীয়রাও এই কম্পনের কথা নিশ্চিত করেছেন। বেলা ১১টা ৪মিনিটে দ্বিতীয় দফা কম্পন অনুভূত হয়, যার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক বাসিন্দা ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
ভূমিকম্প কেন্দ্রের তথ্যমতে, আজ লান্দি ও মালিরে রিখটার স্কেলে সর্বশেষ কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। এর কেন্দ্রস্থল ছিল কায়েদাবাদের কাছে ১০ কিলোমিটার গভীরে। আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ১০টা ২৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়েছে।
আর আগের দিন রাতে দু’বার কেঁপে ওঠে করাচি। মৃদু কম্পন অনুভূত হয় দু’বারই।
করাচির আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে ৩.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে এবং এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। এর উৎপত্তিস্থলও ছিল কায়েদাবাদের কাছে। গত রাত ১টা ৬ মিনিটে আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার মাত্রা ৩.২ এবং গভীরতা ১২ কিলোমিটার, যা গদাপ টাউনের কাছে কেন্দ্রস্থল।’
আমির হায়দার বলেন, ‘এই অঞ্চলে সাধারণত কম তীব্রতার ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যায়। আগামী দিনে ছোট ছোট কম্পন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি আশা করেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কম্পন শেষ হয়ে যাবে।’
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশটি প্রায় ২০টি নিম্ন-তীব্রতার ভূমিকম্প প্রত্যক্ষ করেছে, যা গড়ে প্রতিদিন একাধিক কম্পন। এপ্রিল মাসে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের কিছু অংশে, পেশোয়ার, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরসহ বিভিন্ন স্থানে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
ভূ-তাত্ত্বিক প্রকৌশলী মুহাম্মদ রেহানের মতে, পাকিস্তান তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত (আরব, ইউরো-এশীয় এবং ভারতীয়)। এই প্লেটগুলো দেশের অভ্যন্তরে পাঁচটি ভূমিকম্প অঞ্চল তৈরি করে।
আপনার মতামত লিখুন :