মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- ইরান যদি চুক্তিতে না আসে, তবে তাদের ওপর আরও ভয়াবহ হামলা চালানো হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রতিক্রিয়া জানান ট্রাম্প।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই এটি করো। আমি ইরানকে একের পর এক সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারা কখনোই চুক্তিতে আসেনি।’
ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘তারা যা জানে, যা প্রত্যাশা করে, কিংবা যা তাদের বলা হয়েছে, তার চেয়েও ভয়াবহ কিছু তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো স্থানে হামলা চালাতে সক্ষম এবং সবচেয়ে আধুনিক ও মারাত্মক সামরিক প্রযুক্তির অধিকারী। ইসরায়েলের কাছে এসব সরঞ্জাম প্রচুর রয়েছে, আরও আসছে- আর তারা জানে কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয়।’
এদিকে, আগামী রোববার (১৫ জুন) ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফা পারমাণবিক চুক্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই এমন কঠোর বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ‘ইরান যদি এখনো সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে বহু প্রাণহানি ও ধ্বংস হয়েছে। তবে এই রক্তপাত বন্ধ করার এখনও সময় আছে। পরবর্তী হামলাগুলো আরও নৃশংস হবে এবং তা শেষ হবে পুরো ইরান ধ্বংসের মাধ্যমে। এখনই সময়, যেটিকে একসময় পারস্য সাম্রাজ্য বলা হতো, সেটিকে রক্ষার।’
তিনি লেখেন, ‘আর মৃত্যু নয়, আর ধ্বংস নয়। এটি করো, চুক্তিতে আসো- নইলে খুব দেরি হয়ে যাবে। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন।’
ট্রাম্প আরও জানান, ইসরায়েলের এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি আগেই অবগত ছিলেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এ অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই অংশ নেয়নি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের এই বিমান হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরান আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :