তিন দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আলোচনা এভাবে কতদিন চলবে ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধ?
বিশেষজ্ঞরা এর সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এ বিষয়ে কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের ইরান বিশেষজ্ঞ করিম সাদ্দাদপুর বলেছেন, ইতিহাস বলে ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণের সম্পূর্ণ প্রভাব প্রকাশ পেতে বহু বছর লাগবে।
তার ধারণা, ইসরায়েল ইরানি বোমা ঠেকাতে পারে অথবা বোমার আঘাতের বিষয়টি স্বীকার করতে পারে। এ ছাড়া এই সংঘাত ইরানি শাসন ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে অথবা এটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
এদিকে মার্কিং সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, অন্তত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানে তাণ্ডব চালাতে চায় ইসরায়েল। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ অনুমোদন আদায়ের চেষ্টাও করছে তেল আবিব।
এর আগে গত শুক্রবার ভোর রাতে হঠাৎ ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান হামলা চালায় ইরানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় মুসলিম দেশটি।
এ হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও আইআরজিসি প্রধানসহ মারা গেছেন ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের অভ্যন্তরে থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনীর কূটকৌশলের কারণে যুদ্ধবিমান ঠেকাতে পারেনি তেহরান।
ইরান যখন পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক তখনই এই হামলা চালায় তেল আবিব। ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যা করে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দখলদাররা।
স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রতিশোধের পথ বেছে নেয় ইরান। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পাল্টা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইরানের সামরিক বাহিনীর আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া এক এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্টে দাবি করা হয়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম (আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা) ধ্বংস করে সফল অভিযান চালাতে পেরেছে তারা। তেল আবিব এবং আশপাশের শহরগুলোতে কমপক্ষে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে বলে জানানো হয়।
দুই দেশের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ১০ জন নিহত এবং আহত হয়েছে শতকেরও বেশি। অন্যদিকে ইরানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন আর আহত হওয়ার সংখ্যা তিন শতাধিক।





সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন