সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৩:৩৯ এএম

ইরানি হামলার টার্গেটে হাইফা, কেন এত গুরুত্ব?

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৩:৩৯ এএম

ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় হামলা চালিয়েছে ইরান। ছবি- সংগৃহীত

ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় হামলা চালিয়েছে ইরান। ছবি- সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে একের পর এক পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তেল আবিবের পর সর্বাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের এই বাণিজ্যিক শহরটি।

শনিবার (১৫ জুন) রাতভর ইরানের ছোড়া শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় অংশ হাইফার দিকে ছুটে গেছে বলে দাবি করেছে তেহরান। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে।

চ্যানেল টুয়েলভ, টাইমস অব ইসরায়েলসহ একাধিক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, হাইফায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মিডল ইস্ট আই-র খবরে বলা হয়, হামলার পর রাতভর হাইফায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হাইফায় অবস্থিত রয়েছে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান নৌঘাঁটি এবং বৃহৎ তেল শোধনাগার। রয়েছে রাসায়নিক শিল্পের বিশাল অবকাঠামো। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, এই অবকাঠামোগুলো সামরিক ও বেসামরিক— উভয় দিক থেকেই ইসরায়েলের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

রয়টার্সের তথ্যমতে, ইসরায়েলের মোট সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রায় অর্ধেকই হাইফা বন্দর থেকে পরিচালিত হয়। হাইফাই দেশটির গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে অন্যতম পুরনো ও কার্যকরী একটি কেন্দ্র।

আলজাজিরা জানায়, হাইফা শহরে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস অবকাঠামোও অবস্থিত। এটি ধ্বংস হলে ইসরায়েলের জ্বালানি নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এ কারণেই শহরটিকে ‘আর্থ-স্ট্র্যাটেজিক টার্গেট’ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইরান।

হাইফার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল সেখানে আয়রন ডোম সহ উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। তবে ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এসব প্রতিরক্ষা ভেদ করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

তেহরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল যদি ইরানের বেসামরিক অবকাঠামো ও জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালায়, তবে তারও জবাব মিলবে সমতুল্যে। হাইফায় হামলা সেই অঙ্গীকারেরই বাস্তব রূপ।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, হাইফায় আঘাত হেনে ইরান দেখাতে চায়, তারা শুধু সামরিক জবাব নয়, কৌশলগত চাপ তৈরির মাধ্যমে ইসরায়েলের অর্থনীতি ও জ্বালানি ব্যবস্থার কেন্দ্রেও আঘাত হানতে সক্ষম।
 

Link copied!