ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা। দেখাচ্ছে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা। আত্মরক্ষায় ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও। উভয় পক্ষই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে বলছে। তবে সামরিক সক্ষমতায় ইরানের তুলনায় ইসরায়েল খানিকটা এগিয়ে। এবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে দাম্ভিক তেলআবিবের প্রতিরক্ষার দেয়াল গুঁড়িয়েছে ইরান।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অহংকার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তিন স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা। তবে এক ইরানের কাছেই ধরাশায়ী সেই আয়রন ডোম। ইরানে বীরের বেশে হামলা চালাতে গিয়ে এখন পাল্টা ব্যালিস্টিক মিসাইলের হামলা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইসরায়েলের তিন স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে।
ইরানের মুহুর্মুহু সব অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় এখন জ্বলছে তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বড় বড় শহরগুলো। ইরান ও ইসরায়েল সংঘাতে এরমধ্যে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে তেহরান থেকে ছোড়া একাধিক দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, রাডার সেন্টার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হানে। এসব মিসাইল হামলায় রীতিমতো মুখ থুবরে পড়েছে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’, ‘ডেভিডস স্লিং’ এবং ‘এরো সিস্টেম’ এর মতো তিন স্তরের বিশ্ববিখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইসরাইলের এই তিন স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। তবে এবারের হামলায় দেখা গেছে, একাধিক মিসাইল এই সিস্টেমগুলো ফাঁকি দিয়ে সরাসরি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান উচ্চগতিসম্পন্ন এবং প্রতিরোধ-চালনা ফাঁকি দেওয়ার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যা প্রতিরোধ করার মতো সক্ষমতা নেই আয়রন ডোমসহ এই তিন স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আনন্দ উল্লাসও করতে দেখা গেছে ইরানের সাধারণ নাগরিকদের।
আপনার মতামত লিখুন :