রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিউ ইয়র্ক টাইমস

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

প্রশান্ত মহাসাগরের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান

নিউ ইয়র্ক টাইমস

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

বি-২ বোমারু বিমান। ছবি- সংগৃহীত

বি-২ বোমারু বিমান। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে পশ্চিম দিকে উড়ে যাচ্ছে। এমন সময়ই শনিবার বিকেলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ জার্সি থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরছেন। তিনি এখন ভাবছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্ত হবে কি না যুক্তরাষ্ট্র।

বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণ যোগাযোগ থেকে জানা গেছে, মার্কিন মিসৌরির হোয়াইটম্যান ঘাঁটি থেকে উড়ে যাওয়া বি-২ বোমারু বিমানগুলো গুয়ামের দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও এটি নিশ্চিত নয়। এই বিমানগুলো ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-ধ্বংসকারী বোমা বহনে সক্ষম, যা ইরানের ফোর্ডো ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।

তবে বিমান মোতায়েন মানেই যে চূড়ান্ত হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা নয়। ট্রাম্প এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে এমন সময়ে এসব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যখন ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে ও ইসরায়েল ইতোমধ্যেই একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিছু ফ্লাইট ট্র্যাকার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, বিমানটির গন্তব্যস্থল মার্কিন ভূখণ্ড গুয়াম, যেখানে বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা রয়েছে। যদিও এটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটায় দেখা যায়, বোমারু বিমানগুলোর যাত্রায় কিছু অংশের জন্য জ্বালানি তেল ভর্তি ট্যাঙ্কারও ছিল।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প শনিবার সন্ধ্যায় এবং রোববার তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ট্রাম্প ইরানকে আলোচনার জন্য সময় দিচ্ছেন, যদিও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার প্রস্তাবে তেহরান রাজি হয়নি। এতে ট্রাম্প হতাশ হয়েছেন। অন্যদিকে, মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা থাক বা না থাক, ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন দ্বিধায় রয়েছেন—ইরান দুর্বল অবস্থায় থাকলেও হামলা চালানো মানে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধজটে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি, যেটির বিরুদ্ধেই তিনি ২০১৬ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছেন। তার নিজস্ব সমর্থকরাও এ বিষয়ে বিভক্ত।

শুক্রবার ট্রাম্প আবারও বলেন, ‘আমি দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব। এখন সময় মানুষের বিবেচনা ফিরে আসার কি না, তা দেখার।’

Link copied!