ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা যখন ভয়ংকর আকার ধারণ করছিলো, তখন গোটা বিশ্বের নজর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। কোন পথে নিয়ন্ত্রণে আনা হবে পরিস্থিতি? এ অবস্থায় কূটনৈতিক ভারসাম্যের সূক্ষ্ম খেলায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতার জন্য বেছে নেয় কাতারকে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে- কাতার কেন? যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা অংশীদার এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারকারী দেশ কাতার কীভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় উঠে এলো?
বিশ্বস্ত এবং কার্যকর মধ্যস্থতা
কাতার পূর্বেও বহু কঠিন দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সংঘাতে (আফগানিস্তান, সুদান, ইসরায়েল–হামাস এবং ইরাক ইত্যাদির) মধ্যে সফলভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সহায়তার ভিত্তি
কাতারে অবস্থিত বৃহৎযুক্তরাষ্ট্রীয় আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি রয়েছে। যা কাতার–যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট সামরিক সহযোগিতার প্রতীক। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মার্কিন বাহিনীকে ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে কাতার বিশ্বস্ত এবং নিরপেক্ষ মাধ্যম হিসাবে উচ্চ মর্যাদা পেয়েছে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য
কাতার নির্দিষ্ট কোনো পক্ষের প্রতি ঝুঁকে না থেকে আমেরিকা, ইরান এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সুশৃঙ্খল যোগাযোগ রাখে। এই সম্পর্কের কারণে সহজে মধ্যস্থতা করতে সক্ষম হয়।
ফলপ্রসূ কাজের রেকর্ড
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার (যার ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি) পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাতারের মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধীদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বাস ও নীতিগত সমর্থন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং কাতারকে একটি নিরপেক্ষ ও আশ্বাসদায়ক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন । এছাড়া, আপাতত ট্রাম্প প্রশাসন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক দৃঢ় করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :