অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় পারমাণবিক স্থাপনা গুলোর ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করল ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন, হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার এটা স্পষ্ট করে বলা উচিত,ক্ষয়ক্ষতি মোটেই সামান্য নয়, আমাদের স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ জুন ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহানে একযোগে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীও একাধিক দফায় হামলা চালিয়েছে এসব স্থাপনায়।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও একইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘ইরান তার উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে—এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য আপাতত নেই।’
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক জন র্যাটক্লিফ মন্তব্য করেছেন, ‘এই হামলার ফলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি “বছরের পর বছর পিছিয়ে গেছে।’
সর্বশেষ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করলেন।