পাকিস্তানের নাগরিক ও স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
সোমবার (৩০ জুন) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) এক শুনানিতে সরকার এ অবস্থান জানায়। খবর জিও নিউজ।
শুনানিতে বিচারপতি সরদার এজাজ ইসহাক খান, আবেদনকারীর আইনজীবী ইমরান শফিক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানির শুরুতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, সরকার যুক্তরাষ্ট্রে ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মামলায় পক্ষ না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় বিচারক ওই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে ব্যর্থ হন।
বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘এটি একটি সাংবিধানিক আদালত। সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্তি থাকতে হবে। যুক্তিহীন অবস্থান গ্রহণ করা চলবে না।’
আদালত পরবর্তী শুনানিতে সরকারের সিদ্ধান্তের যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।
ড. আফিয়া সিদ্দিকী একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী, যিনি ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০১০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন কর্মকর্তাদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি টেক্সাসের ফেডারেল মেডিকেল সেন্টার কারসওয়েলে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তরের কয়েক ঘণ্টা আগে ড. সিদ্দিকী নিজেকে ‘ন্যায়বিচারের স্পষ্ট ব্যর্থতার শিকার’ দাবি করে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়। তবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :