ইরান যদি আবারও তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি জোরালোভাবে শুরু করার উদ্যোগ নেয় তাহলে ইরানে ফের হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ‘ইসরায়েল’। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে ।
ওয়াশিংটনের নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে হামলার অনুমোদন দেওয়ার সম্ভাবনার ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তেলআবিব।
টাইমস অব ‘ইসরায়েল’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক নৈশভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ‘ইসরায়েলি’ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় পূর্বের মার্কিন-ইসরায়েলি যৌথ হামলার প্রশংসা করেন। এবং একে একটি সফল অভিযান হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা সতর্ক করে দেন, ইরান যদি শান্তির পথ পরিহার করে, তবে নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে।
অ্যাক্সিওস জানায়, ওয়াশিংটনে এক বৈঠকের পর ‘ইসরায়েলের’ কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরায়েলের’ সম্ভাব্য হামলাকে সমর্থন করতে পারে। এসব পরিস্থিতির মধ্যে অন্যতম হলো তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় সচল করার প্রচেষ্টা কিংবা ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে মজুত ইউরেনিয়াম স্থানান্তরের চেষ্টা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বাঙ্কার-ব্রেকার বোমা ব্যবহার করে হামলা চালায়। ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইরান ও ‘ইসরায়েলের’ মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের ভূগর্ভস্থ স্থানে প্রায় ৪০০ কেজি ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ ছিল, যা অস্ত্র-উপযোগী মাত্রার থেকে এক ধাপ দূরে। মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছে, এই ইউরেনিয়াম হামলার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, যদিও কিছু বিশেষজ্ঞের মতে সেটি হামলার আগেই স্থানান্তর করা হতে পারে।
এদিকে, ‘ইসরায়েলি’ কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ইস্যুটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ‘ইসরায়েলের’ মন্ত্রী রন ডার্মার। তবে গত সপ্তাহে তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই আলোচনার পর ডার্মার ‘ইসরায়েলি’ কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের বিরুদ্ধে ‘শূন্য-সমৃদ্ধকরণ’ নীতিতে অটল রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :