রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

গাজায় ‘ইসরায়েলি’ সেনাদের যুদ্ধাপরাধের ‘প্রমাণ পায়নি’ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

গাজায় নিহত স্বজনের পাশে এক ফিলিস্তিনি। ছবি- সংগৃহীত

গাজায় নিহত স্বজনের পাশে এক ফিলিস্তিনি। ছবি- সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ‘ইসরায়েলি’ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বা নির্যাতনের অভিযোগে করা ১০টি সামরিক তদন্তের মধ্যে প্রায় ৯টি তদন্তই দোষ প্রমাণ না হওয়ায় বা সমাধান ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যাকশন অন আর্মড ভায়োলেন্স (এওএভি)।

সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি জানায়, এসব অনিষ্পন্ন তদন্তের মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাজা সিটিতে খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা কমপক্ষে ১১২ জন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনা এবং ২০২৪ সালের মে মাসে রাফাহতে একটি তাঁবু শিবিরে আগুনে ৪৫ জনের প্রাণহানি।

এছাড়া ১ জুন রাফাহর একটি বিতরণ কেন্দ্র থেকে খাবার নিতে আসা ৩১ জন ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনাটিও এখনো তদন্তাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘ইসরায়েলি’ বাহিনীর গুলিতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রথমে এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করে, পরে জানায় তদন্ত ‘পর্যালোচনার’ পর্যায়ে রয়েছে।

এওএভি’র গবেষক ইয়ান ওভারটন ও লুকাস সান্টজোরিস বলেন, অধিকাংশ মামলায় আইডিএফ কোনো দোষ খুঁজে না পেয়ে বা তদন্ত না করেই মামলা বন্ধ করে দিচ্ছে, যা ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ গড়ে তুলছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, তারা যুদ্ধকালীন কার্যক্রমে আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন হয়েছে এমন ঘটনা তদন্ত করে এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আইনের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেলের দপ্তর কর্তৃক ফৌজদারি তদন্ত এবং এফএফএ (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং অ্যাসেসমেন্ট) নামক একটি পৃথক টিমের প্রাথমিক মূল্যায়ন।

তবে এওএভি বলেছে, যেসব তদন্ত এখনো মুলতবী রয়েছে, সেগুলো খুব ধীরে এবং স্বচ্ছতার ঘাটতি নিয়ে এগোচ্ছে, বিশেষত বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ার পর থেকে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালে গাজা ও পশ্চিম তীরে ৫২টি ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে উল্লেখ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় প্রায় এক হাজার ৩০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক হাজার ৮৮০ জন আহত হয়েছেন।

এই সময়কালে মাত্র একটি মামলায় এক আইডিএফ সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যিনি নিরাপত্তা বন্দিদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন।

আরও পাঁচটি ঘটনায় আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন সাহায্যকর্মী নিহতের ঘটনার পর এক কর্নেল ও এক মেজরের বরখাস্ত এবং তিনজন কমান্ডারকে তিরস্কার।

এওএভি জানায়, তদন্তকৃত ৫২টি ঘটনার মধ্যে মাত্র সাতটি মামলায় কোনও অপরাধ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩৯টি এখনও চলমান বা অনির্ধারিত, যার মধ্যে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যার চারটি ঘটনাও রয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, কোনো অভিযোগ এলেই তার উৎস যাই হোক, প্রাথমিক তদন্ত করা হয় এবং প্রমাণের ভিত্তিতে কোনো ঘটনা ফৌজদারি তদন্তের জন্য সামরিক পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। এফএফএ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থা ইয়েশ দিন বলেছে, অনেক তদন্তই বছর ধরে ঝুলে থাকে। ২০১৪, ২০১৮-১৯ এবং ২০২১ সালে গাজায় পরিচালিত সামরিক অভিযানের ৬৬৪টি ঘটনায়ও এ ধরনের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৪ সালের আগস্টে আইডিএফ জানায়, গাজা যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট শত শত ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৭৪টি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি বন্দিদের মৃত্যু বা নির্যাতনের সঙ্গে, ১৩টি গোলাবারুদ চুরির সঙ্গে, তিনটি বেসামরিক সম্পত্তি ধ্বংস এবং ছয়টি বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের সঙ্গে জড়িত।

তবে এওএভি তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তদন্তসমূহের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে, যেখানে গাজা ও পশ্চিম তীরের ঘটনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং কেবল সরকারপ্রদত্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করা হয়নি।

আইডিএফ বলেছে, ‘কয়েক ডজন সামরিক তদন্ত চলছে এবং এফএফএ কয়েক ডজন মামলার পর্যালোচনা সম্পন্ন করে সম্ভাব্য মামলাগুলো সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে পাঠিয়েছে’।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Shera Lather
Link copied!