ভারতের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মিছিল করে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিযান করতে দিল না দিল্লি পুলিশ। সংসদ ভবন চত্বর থেকে বেরোতেই রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলো। পরে অবশ্য আটক সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আগে থেকেই ঠিক ছিল, সোমবার (১১ আগস্ট) সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনে জড়ো হবেন বিরোধী দলের সব সংসদ সদস্য। বেলা ১১টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হলে বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যালোচনার (এসআইআর) বিরুদ্ধে তাঁরা আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন।
লোকসভার দুই কক্ষে স্পিকার ও ডেপুটি চেয়ারম্যান দাবি মানতে অস্বীকার করেন। বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে তাঁরা বাধ্য হন বেলা দুইটা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতবি করে দিতে। তারপরই বিরোধীরা একজোট হয়ে শুরু করে ইসি অভিযান।
সংসদ ভবন থেকে বেরোনোর পর সংসদ মার্গে কিছুটা এগোতেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। অভিযান রুখতে রাস্তায় ব্যারিকেড রাখা হয়েছিল। সেই ব্যারিকেড ডিঙিয়ে সংসদ সদস্যরা এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশের দাবি, ইসি দপ্তর অভিযানের আগাম অনুমতি বিরোধী সংসদ সদস্যরা নেননি। বিরোধী সংসদ সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের হেনস্তা করেছে। কারও কারও ওপর বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ আন্দোলনকে সংবিধান বাঁচানোর লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী । এসময় গণতন্ত্র বাঁচাতে ইসিকে পক্ষপাত বন্ধ করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে বলেন তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন