মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান যৌথ মহড়াকে ‘শত্রুতামূলক অভিপ্রায়ের’ লক্ষণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এমনকি নিজ দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের সম্প্রসারণ ও অস্ত্র বৃদ্ধি করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর একটি ধ্বংসকারী জাহাজ পরিদর্শনের সময় কিম বলেন, এই মহড়া ‘যুদ্ধ উসক্ দেওয়ার স্পষ্ট চেষ্টার প্রতিফলন’।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে, এবং মহড়ায় পারমাণবিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে বার্ষিক উলচি ফ্রিডম শিল্ড মহড়া শুরু হয়েছে, যেখানে বড় পরিসরের মাঠ প্রশিক্ষণ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করা হচ্ছে। এই মহড়া ১১ দিন ধরে চলবে, ৪০টি মাঠ প্রশিক্ষণ ইভেন্টের অর্ধেক সেপ্টেম্বরে পুনঃনির্ধারিত হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেন, মহড়ার উদ্দেশ্য প্রতিরক্ষামূলক, তবে পিয়ংইয়ং নিয়মিত এটিকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখেছে এবং প্রায়ই অস্ত্র পরীক্ষা দিয়ে জবাব দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিমের পদক্ষেপ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অস্বীকার এবং অস্ত্র আপগ্রেডের ইচ্ছা প্রকাশ করছে। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫০–৯০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে।
পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি, পিয়ংইয়ং তার নৌ সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশটি আগামী অক্টোবরের মধ্যে তৃতীয় পাঁচ হাজার টনের চো হিওন-শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার নির্মাণ শেষ করতে চায় এবং জাহাজের জন্য ক্রুজ ও বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন