যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগাল। মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাউলো র্যাঙ্গেল ঘোষণা দেন, তাদের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।’
একইসঙ্গে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার ও কার্যকর নিরাপত্তা প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে পর্তুগাল সরকার। পাশাপাশি হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়েছে তারা।
রোববার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তির পক্ষে পরিচালিত হতে হবে। জিম্মিদের মুক্তি, সহিংসতার অবসান, ভোগান্তির অবসান এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দিকে ফিরে যাওয়াই এখন সর্বোচ্চ প্রত্যাশা।’
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জাতিসংঘ সম্মেলনে আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে। সম্ভাব্য তালিকায় ফ্রান্সের নামও রয়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে দুটি।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, এই পদক্ষেপ অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করবে এবং হামাসকে উৎসাহিত করবে।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠকে পশ্চিম তীর দখলের প্রস্তাব তুলবেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি হলো হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের পুরস্কার। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন