গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশ সোমালিয়ার মানুষকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে দেশটির পর্যটন শিল্প। খাতটির আগের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সোমালি পর্যটন সংস্থা। সংগঠনটি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন নাগরিকদের দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাদের আশা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যটন খাত সচল হবে এবং ধীরে ধীরে ভঙ্গুর অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে।
ক্ষুধা, দারিদ্র কিংবা গৃহযুদ্ধ খবরের শিরোনামে সবসময় ঠাঁই পায় আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার মানবিক সংকটের তথ্য। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেও দেশটির অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সোমালি পর্যটন সংস্থা।
সংগঠনটি সোমালিয়ার মোগাদিসু ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলজুড়ে নাগরিকদের নিয়ে সাপ্তাহিক ভ্রমণ শুরু করেছে, যার মূল লক্ষ্য মানুষদের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলোর সঙ্গে পরিচয় করানো এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধকরণ।
সোমালি পর্যটন সংস্থার জ্যেষ্ঠ পরিচালক আবাস আব্দিআজিজ বলেন, ‘আমরা সপ্তাহে দুইদিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নাগরিকদের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করাচ্ছি। আজকেও প্রায় ১৫০ জনকে আবাইধান সমুদ্র সৈকত এবং নিমো স্যান্ডে নিয়ে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য, সোমালিয়ার সব অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে ভ্রমণ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা।’
সংগঠনটির এমন ভ্রমণ উদ্যগে খুশি সোমালিয়ার নানা বয়সের মানুষ। স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রতি শুক্রবার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে সমবেত হন। আমরা আশা রাখি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হলে শহর ছাড়িয়ে সমগ্র সোমালিয়াজুড়ে পর্যটন প্রসার পাবে।’
দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমি এসেছি। মুহূর্তগুলোকে দারুণ উপভোগ করছি। সবকিছুর জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সোমালি পর্যটন সংস্থা তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। তাদের প্রত্যাশা, এর মধ্য দিয়ে মজবুত হবে দেশটির অর্থনৈতিক কাঠামো। দৃঢ় হবে সামাজিক বন্ধন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন