প্রবল শক্তিতে জ্যামাইকার দিকে ধেয়ে আসছে ক্যাটাগরি-৫ হ্যারিকেন ‘মেলিসা’। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এই ভয়ংকর সামুদ্রিক ঝড় সরাসরি আঘাত হানতে পারে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে। জ্যামাইকা প্রায়ই হারিকেনের প্রভাবের মুখে পড়ে, তবে সরাসরি স্থলে ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঝড় আঘাত হানা সেখানে অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এবার সেই বিরল প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে, যা দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর একটি হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) সতর্কতা দিয়ে জানিয়েছে, হ্যারিকেন মেলিসার আঘাতে লন্ডভন্ড হতে পারে জ্যামাইকা। সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। হ্যারিকেন মেলিসা সরাসরি জ্যামাইকার ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি)।
ইউনিসেফের তথ্যমতে, মেলিসা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্যারিবীয় অঞ্চলজুড়ে প্রায় ১৬ লাখ শিশু ‘ঝুঁকির মধ্যে’ রয়েছে।
ডব্লিউএমও’র ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ ক্লেয়ার ফোনটান বলেছেন, তারা আশঙ্কা করছেন ঝড়টি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এ ছাড়া আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস দেখা দিতে পারে। ‘জ্যামাইকার জন্য এটি হবে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ হ্যারিকেন।’
এই নারী ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, তারা হ্যারিকেনের প্রভাবে জ্যামাইকায় ১৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া একদিনে ৭০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা একটি পুরো মৌসুমের বৃষ্টিপাতের সমান। এমন অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
হ্যারিকেন মেলিসা সাগরে মাত্র ৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছিল। আজ সকালে এটির গতি মাত্র ৭ কিলোমিটার হয়। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এমন ধীরগতির হ্যারিকেন সাধারণত ভয়াবহ ও বিপজ্জনক হয়ে থাকে। কারণ এতে করে ঝড়টি শক্তি সঞ্চার ও ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে।
সূত্র: আল-জাজিরা


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন