শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ জ্যামাইকা ও কিউবার মধ্য দিয়ে ধ্বংসাত্মক পথ তৈরি করেছে এবং বর্তমানে বাহামার দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে জ্যামাইকায় বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় এবং ঝড়ের কারণে বিমান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ফ্লাইটরাডারের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা ও যাওয়া বিমানগুলো ঝড়ের কেন্দ্র এড়াতে পথ পরিবর্তন করছে।
হাইতিতে বন্যায় ২০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এছাড়াও আরও এক ডজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।১৬০টিরও বেশি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
জ্যামাইকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিশ অঞ্, যেখানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আরও তিনজন মারা গেছেন, যার মধ্যে একজন৯ বছরের শিশু নিখোঁজ। দ্বীপের ব্যাপক অংশে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে।
ঝড়ের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কিউবায়নদীর জলস্তর বৃদ্ধি ও তীব্র ঝড়ের কারণে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গত মঙ্গলবার জ্যামাইকায় ক্যাটাগরি ৫ হিসেবে আঘাত হানার পর রাতারাতি কিউবায় প্রবেশ করে। বুধবার বিকেল নাগাদ ঝড়ের মাত্রা কমে ক্যাটাগরি ১ এ নামানো হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ বারমুডার দিকে যাত্রা করতে পারে।
সরকারি কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ পুনরুদ্ধার এবং বন্যা ও ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। জ্যামাইকায় থাকা ২৫ হাজার আন্তর্জাতিক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নরম্যান ম্যানলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার কাজ চলছে। চল


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন