৩৪ বছর বয়সি জোহরান মামদানি ইতিহাস রচনা করেছেন, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে জয়ী হয়ে। তিনি শহরের প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি হিসেবে এই পদে নির্বাচিত হলেন। এ ছাড়া, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে শহরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রও তিনি হচ্ছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রগতিশীল শাখার প্রতিনিধি হিসেবে মামদানি প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করেছেন। তিনি নগর সরকারের সংস্কার, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেন, ‘আমি তরুণ এবং আমি একজন মুসলিম। আমি মুসলিম হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নই। আজ রাতে, আমরা পুরাতন থেকে নতুনের দিকে পা রেখেছি।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে এমন মুহূর্ত আসে যখন একটি যুগের অবসান ঘটে এবং একটি জাতির আত্মা দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ার পর উচ্চারণ পায়।’
মেয়র পদ গ্রহণের পরেই তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, যেহেতু আমি জানি আপনি দেখছেন, তাই আপনার জন্য আমার চারটি শব্দ আছে: শব্দ বৃদ্ধি করুন!’
তবে, মামদানি রাজনৈতিকভাবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হতে হলে জন্মগতভাবে আমেরিকান নাগরিক হতে হবে। ১৯৯১ সালে উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী মামদানি ২০১৮ সালে ন্যাচারালাইজেশনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। ফলে তিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য।
তবে তিনি মার্কিন সিনেটর বা প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণভাবে যোগ্য। এই বিজয় প্রমাণ করে, নিউ ইয়র্কের রাজনীতি এখন আরও প্রগতিশীল এবং বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন