২০১৯ সালে দায়ের করা তিনটি মামলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (৩০ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের কাছে ক্ষমার আবেদন পাঠান তিনি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর আইনজীবী অমিত হাদাদ ১১১ পাতার ক্ষমাভিক্ষার কাগজপত্র প্রেসিডেন্টের দপ্তরে জমা দেন। এতে নেতানিয়াহুর স্বাক্ষর রয়েছে।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমা করা হলে প্রধানমন্ত্রী এই সংকটময় সময়ে ইসরায়েলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো মোকাবিলা করতে তার সবসময়, ক্ষমতা ও শক্তি ব্যয় করতে পারবেন। অনুরোধটি মঞ্জুর করা হলে জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যেকার দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে, উত্তেজনার তীব্রতা কমাতে পথ খুলে দেবে। ক্ষমা করা হলে প্রধানমন্ত্রী তার পুরো সময় দেশের জাতীয় শক্তি মজবুত করার উদ্দেশ্যে ব্যয় করতে পারবেন।’
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় এখনো দেওয়া হয়নি। সাধারণত আদালত রায় দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ক্ষমা ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু নেতানিয়াহু রায় ঘোষণার আগেই ক্ষমা চেয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রেও প্রেসিডেন্ট চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারবেন। যদিও এমন ঘটনা খুবই বিরল।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিনটি আলাদা মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে। প্রত্যেক মামলায় জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। নেতানিয়াহুর বিচার ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এটি এখনো শেষ হয়নি।
