দুর্নীতি মামলায় দোষ স্বীকার না করলে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অ্যাটর্নি মিকাহ ফেটম্যান। সেই সাথে তিনি এ-ও মন্তব্য করেন- নেতানিয়াহু যে প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (০১ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। চ্যানেল ১২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাবেক আইনজীবী ফেটম্যান বলেন, আইন অনুযায়ী ক্ষমা দেওয়া হয় অপরাধীকে—যে অপরাধ স্বীকার করে।
এদিকে তার মন্তব্যের ঠিক আগে তেলআবিবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন ইসরায়েলিরা। তারা নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা প্রত্যাখ্যানের দাবি জানান। প্রেসিডেন্ট হারজগ জানান, তিনি আইনি পরামর্শমোতাবেক ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই সাথে তিনি 'কোনো শর্তযুক্ত ক্ষমার দিকে ঝুঁকছেন না' বলেও জানান।
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও বলেছেন, নেতানিয়াহু রাজনীতি ছাড়লে তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমা সমর্থন করবেন।
নেতানিয়াহু গত পাঁচ বছর ধরে তিনটি পৃথক দুর্নীতি মামলায় ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এ মাসের শুরুর দিকে নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন যে, দোষ স্বীকার করতে হলে তিনি ক্ষমা চাইবেন না। তবুও রোববার জমা দেওয়া তার ১১১ পৃষ্ঠার ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন ও ব্যক্তিগত চিঠিতে কোনো ধরনের দোষ স্বীকার বা অনুশোচনা নেই বলে জানা গেছে। বরং একটি ভিডিও বার্তায় তিনি অভিযোগপত্রকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেন এবং বলেন, এটি বাতিল করা হলে ‘জাতীয় ঐক্য’ এগিয়ে যাবে।
ফেটম্যান মামলার শুরুতে দুই মাস নেতানিয়াহুর পক্ষে লড়েছিলেন। তিনি বলেন, দোষ স্বীকার ছাড়া নেতানিয়াহুকে ক্ষমা দেওয়ার সুপারিশ করার কোনো সম্ভাবনাই নেই— না অ্যাটর্নি জেনারেল, না রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউশনের। অতীতে যেসব ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ছাড়া ক্ষমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ছিল গুরুতর অসুস্থ অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে— কখনোই কোনো দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে নয়।


