পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভারী অস্ত্রের গুলি বিনিময় হয়। শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার একদিন পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, পাকিস্তান প্রথমে কান্দাহারের বোলদাক এলাকায় হামলা চালায়। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগান বাহিনী চামান সীমান্তে ‘বিনা উসকানিতে’ গুলিবর্ষণ করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তান পুরোপুরি সতর্ক অবস্থায় আছে। আমাদের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এর আগে দুই দিন আগে সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় বসেছিল ইসলামাবাদ ও কাবুল। তবে কোনো সমাধান না মিললেও উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছিল। তার পরও অল্প সময়ের ব্যবধানেই সীমান্তে বড় ধরনের গোলাগুলি হলো।
গত অক্টোবর মাসে দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় সংঘাতে কয়েকশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তানে একাধিক আত্মঘাতী হামলার পর ইসলামাবাদ অভিযোগ তোলে, এসব হামলার সঙ্গে আফগানিস্তানে অবস্থানরত জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে। তালেবান সরকার অভিযোগ নাকচ করে বলেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যার দায় তাদের ওপর চাপানো ঠিক নয়।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বাহিনী প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয় তালেবান। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে চলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন