মুন্সীগঞ্জ শহরের গণকপাড়া এলাকায় পবিত্র কোরআন শরীপ পোড়ানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এক যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নিরাপত্তার জন্য ওই যুবকের বাবাকেও থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, দিনের শুরুতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এর পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। রাত গভীর হলে মুসল্লিরা তার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেন।
পুলিশ জানায়, সকালে বাড়ির পাশেই কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাতের দিকে সংঘবদ্ধ কয়েকজন হামলা চালালে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে তারা অভিযুক্ত যুবককে আটক করেন। মুসল্লিদের চাপ থেকে রক্ষা করতে যুবকের বাবাকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাটির বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, অভিযুক্ত যুবক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তারা মনে করেন, মাদকের কারণে এমন আচরণ করেছেন তিনি। তবে মাঝরাতে তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা যৌক্তিক হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, কোরআন ‘অবমাননার’ অভিযোগে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাত ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে, আর তার বাবাকে নিরাপত্তার জন্য থানায় রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন