ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

আজ রাত থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, এক্স (X) সহ ১০টি প্রধান প্ল্যাটফর্মে ছোটরা অ্যাকাউন্ট চালাতে পারবে না।

নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ ৪৯.৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জরিমানা হতে পারে। ইতিমধ্যেই ১৬ বছরের কমবয়সিদের প্রায় ১০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে ব্লক করা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টা (স্থানীয় সময়) পেরোলেই অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কমবয়সিরা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না।

তবে শুরুতে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে, কিছু শিশু বয়স যাচাই পরীক্ষা পেরোতে সক্ষম হলেও পুরোপুরি কার্যকর বাস্তবায়ন এখনও চ্যালেঞ্জিং।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনেসে বলেছেন, যেমন ১৮ বছরের নীচে মদ্যপান আইন অনুযায়ী সীমাবদ্ধতা রয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণও জরুরি। এটি একটি স্পষ্ট জাতীয় মান স্থাপন করবে।

নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে অভিভাবকদের মতামত ভিন্ন। কেউ এটিকে সময়মতো পদক্ষেপ মনে করছেন, কেউ আবার ভিপিএন ও অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল শিখাচ্ছেন।

বিশ্বজুড়ে এ পদক্ষেপকে নজর দেওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়েগিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশও এ ধরনের নিয়ম চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে।

ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে প্ল্যাটফর্মগুলোতে কতগুলো একাউন্ট বন্ধ হয়েছে, কী চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, এবং কিভাবে সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা রোধ করা হচ্ছে—এসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং প্রকাশ করা হবে।

পাশাপাশি, একটি স্বাধীন একাডেমিক গ্রুপ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মূল্যায়ন করবে, যাতে সুফল ও অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল দুটোই দেখা যায়।

গ্রান্ট আরও বলছেন, আমরা দেখব শিশুদের ঘুমের মান, খেলাধুলা, পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য—সব কিছুতে কী প্রভাব পড়ছে। তবে কিছু কিশোর হয়তো ‘ডার্ক ওয়েব’ বা ভিপিএন ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাবে। এটি সবকিছুই নজরদারির আওতায় থাকবে।