ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

আরএসএফের ড্রোন হামলায় সুদানে ৭৯ বেসামরিকের মৃত্যু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান প্রদেশে হামলা। ছবি- সংগৃহীত

সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান প্রদেশের কালোগি শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) পরিচালিত ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩ শিশু এবং চারজন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন।

হামলার সময় আরএসএফের ড্রোন থেকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যা একটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাসপাতাল এবং শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। প্রথমদিকে নিহতের সংখ্যা আটজন জানানো হয়েছিল, পরে তা হঠাৎ ৭৯-এ পৌঁছায়।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর)  এক প্রতিবেদনে এ খবরটি নিশ্চিত করেছে আনাদোলু এজেন্সির।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে- এই হামলা একটি পরিকল্পিত গণহত্যার অংশ। লিশিয়ারা শিশু এবং আহতদের লক্ষ্য করেছিল, এবং আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময়ও তারা গ্রামীণ হাসপাতালে ঢুকে আরও মানুষ হত্যা করেছে।

রাজ্য সরকার এই হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ এবং ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউনিসেফ এই হামলাকে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থার বরাতে জানা গেছে, নিহত শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগ ৫ থেকে ৭ বছরের।

সুদানে বর্তমানে উত্তরের দারফুর ও দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের বেশিরভাগ অঞ্চল সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরএসএফ পশ্চিম দারফুরের পাঁচটি রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনা ও আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সুদানের দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্য সরকারের মতে, এই হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তৎপরতা না থাকায় মিলিশিয়াদের উদ্ভ্রান্ত আচরণের উদাহরণ।

এই পরিস্থিতিতে, মিলিশিয়াদের কার্যক্রম রোধ ও তাদের মিত্রদের জবাবদিহি করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নিতে হবে।