রাজধানীর গুলশানের টিএন্ডটি মাঠে কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহীর (আনসার-ভিডিপি) মানবিক সহায়তা কেন্দ্র আজ ৯ দিনের সফল সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এই সময় জরুরি খাদ্য, শীতবস্ত্র এবং দৈনন্দিন রান্না করা খাবারের ধারাবাহিক বিতরণ করা হয়।
সেবা কেন্দ্রের শেষ দিনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১,২০০ জন শিশুর মধ্যে প্যাকেট গুঁড়া দুধ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামানের সাক্ষরিতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
তিনি জানান, ‘অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের পর মানুষের মানসিক ও বাস্তবিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়াই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতেও যেকোনো মানবিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার আমরা করছি।’
গত ২৫ নভেম্বর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়েন। বাসস্থানহীনতা, শিশু খাদ্য, শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকট দেখা দিলে ২৮ নভেম্বর বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ-এর নির্দেশনায় মানবিক সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০০ কম্বল এবং ৪০০ জনকে অতিরিক্ত শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। নয় দিন ধরে প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২,০০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও বিকল্প পানি সরবরাহ পয়েন্ট স্থাপন করে বস্তিবাসীর সুপেয় পানি নিশ্চিত করার কাজ এগিয়ে চলেছে।
সমাপনী বক্তব্যে এডিজি মহোদয় ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী, ঢাকা জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর অঙ্গীভূত আনসার, নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) এবং আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের মানবিক সেবামূলক কার্যক্রমে নিবেদিত দায়িত্বের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।



