পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়টি নিশানায় ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে ইসরায়েল। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’।
বুধবার (৭মে) এক্স-এ এক বার্তায় ভারতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।’
অন্যদিকে, বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক ডারের সঙ্গে ইসলামাবাদে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত। তিনি ভারতের সামরিক পদক্ষেপকে ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের অযৌক্তিক লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করে তুরস্কের পূর্ণ সমর্থন জানান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানায়, বৈঠকে উভয় পক্ষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে এবং ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের ওপর জোর দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে ভারতের এই হামলা পরিচালিত হয় । এর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত একটি সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন মানুষ।
এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। ইসলামাবাদ এ অভিযোগ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসাথে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।
তবে, ভারতীয়দের অনেকে এ হামলার ধরণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধী দল কংগ্রেস দাবি করেছে, হামলার তিন দিন আগেই গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
পাকিস্তানে ভারতের হামলার পদক্ষেপকে ইসরায়েল সমর্থন জানালেও ভিন্ন সুরে কথা বলেছে তুরস্ক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারকে ফোন করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ভারতের এই হামলাকে ‘অপ্রস্তুত আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তুরস্ক এ সময় পাকিস্তানের প্রতি সংহতি জানায় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। দুই দেশ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক। আমরা এইমাত্র এটি সম্পর্কে শুনেছি। মানুষ অতীতের ওপর ভিত্তি করে জানত যে কিছু ঘটতে চলেছে। কারণ উভয় পক্ষই বহু দশক এবং শতাব্দী ধরে লড়াই করে আসছে। তবে আমি আশা করি এটি খুব দ্রুত শেষ হবে।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ভারতের হামলার প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সামরিক সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
আপনার মতামত লিখুন :