শ্রীলঙ্কায় দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাধর রাজাপাকসে পরিবারের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (সিআইএবিওসি)।
বুধবার (৬ আগস্ট) আটক হন সাবেক মন্ত্রী শাশীন্দ্র রাজাপাকসে। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ও গোটাবায়া রাজাপাকসের ভাতিজা।
দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে, শাশীন্দ্র একটি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, সেই জমি আসলে সরকারি মালিকানাধীন ছিল। কমিশনের ভাষায়, ‘তিনি সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন, যা দুর্নীতির শামিল।’
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই প্রেক্ষাপটে শাশীন্দ্র রাজাপাকসে হচ্ছেন রাজাপাকসে পরিবারের প্রথম সদস্য, যিনি নতুন সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন।
এর আগে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এবং ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণে খেলাপি ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের তীব্র সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, যার জেরে গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
রাজাপাকসে পরিবারের আরও অনেক সদস্যের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মাহিন্দা রাজাপাকসের দুই ছেলে নামাল ও ইয়োশিথা অর্থপাচার মামলায় জড়িত। ইয়োশিথা দাবি করেছেন, তিনি এক ব্যাগ রত্ন বিক্রি করে বিপুল অর্থ পেয়েছেন, যা নাকি এক প্রবীণ আত্মীয়ার উপহার। কিন্তু ওই আত্মীয়া জানিয়েছেন, তিনি মনে করতে পারছেন না কে তাকে সেই রত্ন দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া মাহিন্দার শ্যালক নিশান্থা বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছেন। অন্যদিকে মাহিন্দার ভাই ও সাবেক মন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের মামলা চলমান রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মিরর শ্রীলঙ্কা
আপনার মতামত লিখুন :