জাপানে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক অর্থ নিরাপত্তা মন্ত্রী সানাই তাকাইচি। রান-অফ নির্বাচনে দেশটির সাবেক কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কইজুমিকে হারিয়ে এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫ প্রার্থী। ৫৯০ ভোটের মধ্যে ১৮৫ ভোট পান তাকাইচি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কইজুমি পান ১৫৬ ভোট। সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন তাকাইচি, স্থলাভিষিক্ত হবেন সদ্য পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাপানের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তাকাইচি দেশের অর্থনৈতিক নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নতুন প্রযুক্তি, অবকাঠামো, খাদ্য উৎপাদন এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অন্যান্য ক্ষেত্রে বিপুল রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী এক দশকের মধ্যে অর্থনীতির আকার দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ ছাড়া আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগের একটি বিনিয়োগ চুক্তি পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন, যা ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেই আসুক, চলমান অর্থনৈতিক মন্থরতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। ইতোমধ্যে এলডিপি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে এবং জনগণের হতাশাও বাড়ছে। ২০২০ সালে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পদত্যাগ করার পর, রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। সবশেষ ৫ বছরে ৪ প্রধানমন্ত্রী জাপান শাসন করে। বিগত ৩০ বছর যাবৎ দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে এলডিপি।