রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

তাইওয়ানে বিরোধীদলের প্রধান হলেন চীনপন্থি নেতা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

চেং লি-ওন। ছবি- সংগৃহীত

চেং লি-ওন। ছবি- সংগৃহীত

তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কুয়োমিনতাংয়ের (কেএমটি) নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন চেং লি-ওন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে কাজ করেছেন। এক সময় চীন থেকে পালিয়ে আসা চিয়াং কাইশেক এই দলের নেতা ছিলেন।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়োমিনতাংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে—চেং লি-ওন ৫০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে ছয় প্রার্থীকে হারিয়েছেন। তিনি দলের তৃতীয় নারী প্রধান। বর্তমান সভাপতি এরিক চু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। জয়ী হওয়ার পর চেং বলেন, ‘নির্বাচনের সমাপ্তি মানেই ঐক্যের শুরু। আমরা শুধু কেএমটি-কে নয়, পুরো তাইওয়ানকে একত্র করব।’

চেং নির্বাচনী প্রচারের সময় বলেন, ‘আমি চাই সব তাইওয়ানবাসী গর্ব ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারুক, আমি চীনা।’ তিনি বারবার ১৯৯২ সালের সংবিধানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থন জানিয়েছেন, যা কুয়োমিনতাং অনুমোদিত এবং বেইজিং এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী দুই পাশের অঞ্চলই এক চীনের অংশ।

প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের প্রশাসন এই অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, তাইওয়ান একটি বাস্তব স্বাধীন দেশ, যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি বাড়ানো উচিত। চেং-এর জয় লাই-এর সামরিক বাজেট বৃদ্ধির প্রচেষ্টা আরও কঠিন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রধান সামরিক সমর্থক এবং চীনের বিরুদ্ধে তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে লাই-কে উৎসাহিত করছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) চেং বলেন, ‘বহির্বিশ্ব সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা সমতা, সম্মান ও পারস্পরিকতার নীতি মেনে চলব। আমরা কখনো তাইওয়ানকে ভূ-রাজনীতির খেলায় সমস্যার কারণ বা শিকার হতে দেব না। কেএমটি দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।’

১৯৪৮ সালের পর চিয়াং কাইশেক তাইওয়ানে আশ্রয় নেওয়ার পর পরবর্তী কয়েক দশক ধরেই একক শাসক হিসেবে অঞ্চলটি শাসন করেছে কুয়োমিনতাং। পরে দ্বীপটিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শুরু হলে ক্ষমতাচ্যুত হয়। চীনের সঙ্গে একীকরণের পক্ষপাতী হওয়ায়, বেইজিং দলটিকে প্রিয় আলোচক হিসেবে বিবেচনা করে।

বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখলেও তাইপেই তা প্রত্যাখ্যান করে। চীন সরকার ঘোষণা করেছে, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেও একদিন ২৩ মিলিয়ন মানুষ বসবাসরত এই গণতান্ত্রিক দ্বীপকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবে। আগস্টে লাই-এর প্রশাসন ২০২৪ সালের তুলনায় সামরিক খাতে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি ব্যয় প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া অস্ত্র সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ বাজেটও শিগগিরই প্রস্তাব করা হবে। উভয় প্রস্তাবই আইনসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!