ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ভারতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে ৪ কারণ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
ভারতের বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বিমান । ছবি - সংগৃহীত

ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়া এআই১৭১ যাত্রীবাহী বিমানে ২৪২ জনের মধ্যে নিহত হয়েছেন ২৪১জন। দেশটির সবথেকে ভয়াবহ দূর্ঘটনার একটি হল এই বিমান দূর্ঘটনা। 

শুধু বিমানেই নয় আছড়ে পড়া মেডিক্যাল হোস্টেলেও প্রাণ হারিয়েছেন ৫জন। বিমানে বেচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ ।

কিন্তু ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনার কারণ কী, এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে এরই মধ্যে দুর্ঘটনা-কবলিত বিমানের একধিক ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেগুলো বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে তেমনই চারটি কারণ।

বিমান দূর্ঘটনার নেপথ্যে কি তা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া অথবা ভারতের সিভিল এভিয়েশন এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শীদের শেয়ার করা ছবি ও ভিডিও থেকে বিশেষজ্ঞরা অনুসন্ধান করে ৪টি কারণ খুজে বের করেছেন।

হিসেবনিকেষ ত্রুটি

দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে বিমানটির ভার এবং এ সংক্রান্ত গণনায় ত্রুটি।
যাত্রী ও তাদের মালপত্র সমূহের ওজন সঠিক ভাবে গণনা ও বিমানে ওজন উপযুক্ত বন্টন না হলে ভারসাম্য হারাতে বাধ্য বিমানটি । 


বিমানের মধ্যে যাত্রীদের কোথায় বসানো হবে, কোন দিকে কত যাত্রী বসলে বিমানের সামনের ও পেছনের দিকের ভারসাম্য বজায় থাকবে, বিমান ওড়ার আগে তা হিসাব করতে হয়। এক্ষেত্রে হিসাবে ভুল হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটি

উড্ডয়নের পর ল্যান্ডিং গিয়ার গোল যাগ দেখা দিয়েছিল কিনা তা তদন্তের জোর দাবি জানাচ্ছে বিমান বিশেষজ্ঞরা । তাদের ধারণা উড়তে শুরু করার পর ঠিকমরতা বন্ধ না হওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায় বিমানটি।

‘লিফট’ ধরে রাখতে না পারা

বৈমানিক ভাষায় লিফট বলতে বিমানের উড্ডয়নের পর উপরের দিকে ওঠার ক্ষমতা কে বোঝায়। ধারণা করা হচ্ছে লিফট কমে এসেছিল বিমানটির যার কারণে তখন বিমানটিকে আর ভাসিয়ে রাখতে পারেননি পাইলট। ভিডিও বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রানওয়ে ছাড়ার পর বিমানটি মাঝপথে সামান্য ধাক্কা খেয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। লিফ্‌ট কমে যাওয়ার কারণেই এমনটি ঘটতে পারে।

ইঞ্জিন ত্রুটি

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল। সেটি ভেঙে পড়ার আগে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২২ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছাতে পেরেছিল। যা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। ওই সময়ে বিমানের গতি আরও অনেক বেশি হওয়ার কথা। কোনো কারণে বিমানের ইঞ্জিন শক্তি হারিয়ে ফেলে। এতে দুর্ঘটনা অনিবার্য হয়ে ওঠে।

এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের টাটা শিল্পগোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন।