ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

মার্কো রোবিও-ইসহাক দার বৈঠক

প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গে সংঘাত চায় না পাকিস্তান

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ১১:১৭ এএম
ওয়াশিংটনে ইসহাক দার ও মার্কো রোবিও। ছবি- মার্কো রোবিওর এক্স থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। এ সময় প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গে ইসলামাবাদ সংঘাত চায় না জানিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং তাদের দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।  

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, মার্কো রুবিও ও ইসহাক দারের এটিই প্রথম বৈঠক। এর আগে দুজনের টেলিফোনে কথা হয়েছিল। বৈঠকে ‘বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তিতে’ পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসাও করেন রুবিও। এ ছাড়া, বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে ইসহাক দার বলেন, আমেরিকান ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য পাকিস্তান একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। আঞ্চলিক শান্তির বিষয়ে দুই দেশেরই একই দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্বার্থ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানি সম্প্রদায় দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করছে।

এ সময় উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নীতকরণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন; যার মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতার ওপর নতুন করে জোর দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য পাকিস্তানের অব্যাহত আগ্রহ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতিশ্রুতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মার্কো রোবিও।

এদিকে, তিন ধরে চলা পাক-ভারত সংঘাতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর ট্রাম্পের মধ্যস্থতার বিষয়টি অস্বীকার করে ভারত। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলেছে নয়াদিল্লি। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ পাকিস্তানই নিয়েছিল। দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করে।