যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমার দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখনও বেশ ইতিবাচক।’
মোদি লিখেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আবেগপূর্ণ এবং ইতিবাচক মূল্যায়নকে প্রশংসা করছেন এবং ভারত তার প্রতিদান সম্পূর্ণরূপে দেবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও ভবিষ্যৎমুখী সর্বাত্মক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।
মোদি এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করার পর। এর প্রেক্ষাপট হলো, বর্তমানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে চীনে যান। এটি ছিল সাত বছর পর তার প্রথম চীন সফর, যা দুই এশীয় শক্তির মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা উষ্ণতা ফেরার ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। তাদের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয় করে ইউক্রেনে চলমান প্রাণঘাতী হামলায় মস্কোকে সহযোগিতা করছে।
তারপরও, মোদি এবং ট্রাম্প দুজনই জনতুষ্টবাদী নেতা ও ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি সবসময় মোদির বন্ধু থাকবেন এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
মোদির চীন সফর ট্রাম্পের মনোমালিন্যের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মোদি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং নোবেলসম্মত কূটনীতি দাবি করলেও, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে, যা ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে। এই পরিস্থিতি দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে জটিল কূটনৈতিক সম্পর্কের চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন